বগুড়া: বগুড়ার বহুল আলোচিত প্রতিবাদী যুবক হুমায়ুন আহমেদ রুমেল অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের নাটাই পূর্বপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
মার্চ মাসে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ভেন্যু বাতিল করা হলে রুমেল এই ভেন্যু ফিরিয়ে আনতে দুই দফা অনশন করে আলোচিত হন। রুমেল ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন রুমেল। তিনি ‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে একটি পেইজে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করতেন। তার বাকি তিন ভাই চাকরির সুবাদে বগুড়ার বাইরে থাকতেন।
রুমেল তার ‘চ্যানেল বগুড়া’ নামে ফেসবুক পেইজে বুধবার রাত ১১টা ৪২ মিনিটে লেখেন, ‘জীবনের প্রথম স্মৃতি এবং জীবনের শেষ স্মৃতি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ...।’
রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রুমেল। গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এবং বাড়িতেই মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে রুমেল তার ফেসবুকে লেখেন, ‘বগুড়ার বিমানবন্দর চালু করার দাবিতে সিসি ক্যামেরার সামনে আমরণ অনশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঈদ পার হলেই শুরু হবে আন্দোলন।’
রুমেলের বন্ধু রাসেল ইসলাম বলেন, ‘রুমেলের সঙ্গে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কথা বলি। সে মানসিকভাবে অনেক চিন্তিত ছিল। বগুড়া স্টেডিয়াম ফিরিয়ে আনতে সে অনশন করেছিল। কিন্তু তার সেভাবে কেউ মূল্যায়ন করেনি। তবুও সে বগুড়াবাসীর জন্য ঈদের পর আবারও বিমানবন্দরের জন্য অনশনে বসতে চেয়েছিল।’
রুমেলের খালাতো বোন রুমি বেগম বলেন, সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রুমেল বলে যে তার শরীর খুব খারাপ। তখনই বাড়ির আঙিনায় শোয়ানো হয়। তার কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। রুমেল অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ছিল। তীব্র গরম সহ্য করতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক করে রুমেল।
রুমেলের প্রতিবেশী রকি হোসেন বলেন, হঠাৎ করে ভোরে রুমেল ভাইয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে যাই। গিয়ে দেখি মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। হাত পা ছেড়ে দেওয়া। পরে চিকিৎসার জন্য গাড়ি ভাড়া করতে যাই। এসে দেখি রুমেল ভাই আর নেই।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) শরাফত ইসলাম জানান, আলোচিত রুমেলের মারা যাওয়ার বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমের কারণে সে মারা যেতে পারে।
সূত্র-জাগোনিউজ
সোনালনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :