• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গায় একঘরে করা হয়েছে চারটি পরিবারকে


ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি মে ২৭, ২০২৩, ১১:৩১ এএম
ভাঙ্গায় একঘরে করা হয়েছে চারটি পরিবারকে

ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নয়রে পীরের চর এলাকার নয়ঘর মহল্লায় একঘরে করা হয়েছে ৪ টি পরিবারকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক বছর যাবত মহল্লার প্রভাবশালী মাতুব্বররা মিলে একঘরে করে রেখেছে চারটি পরিবার কে। পরিবার গুলোর দাবি তারা জানেন না কি কারনে তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় দোকান পণ্য ক্রয় করতে দেওয়া না এতে ব্যাহত হচ্ছে জীবণ-মান। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো হচ্ছে জাফর ফাকির, রবি ফকির,হযরত ফকির, হারুন ফকিররে পরিাবর।
 
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী হারুন ফকিরের দাবি, আমার ভাই হযরত ফকির একটি মাদাস্রা প্রতিষ্ঠা করেন। উনার একটা জামাই মাদ্রাসার শিক্ষক। সে নাকি বলছে পীরের চর এলাকার নয়ঘর মহল্লায় বাচ্চাদের পড়াব না। নয়ঘরের ছেলে মেয়ে বেয়াদব শাসন করলে বাবা মায়ের নিকট নালিশ করে গার্ডিয়ানরা আসে মারতে। তো সে নাকি (শিক্ষক) বলছে নয়ঘর মহল্লার লোকজন ঠ্যাংগায় না। তো এসব কথা একটা দরবারে আমাদের কে বলেন। তো (সাবেক মেম্বার) প্রায়ত ধলা মেম্বার আমার কথা বলেন আমার কাছে নালিশ দিলেই তো হয়। আমার কাছে এই কথা বললে আমি বলেছি সে জামাই হতে পারে কিন্তু তার এই কথা বলা ঠিক হয়নি। পরবর্তীতে তারা হুজুরের বাড়ি ঘেড়াও করতে যায়। এরপর থেকে আমাদেরকে একঘরে করে রেখেছে। সে সময় ঐ ঘটনায় আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। এখন স্থানীয় দোকান কখনো পণ্য ক্রয় করতে দেয় আবার কখনো দেয় না। আজ আবার আমাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী বায়েজীদ ফকিরের বলেন, গত এক বছর যাবত একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহল আমাদেরকে একঘরে করে রেখেছে। আমাদের কি অপরাধ সেটাও বলে না। যদি আমাদের পরিবারের কোন ভুল থাকে আমরা সেটা সংশোধন করবো। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোন কারন বলে না। স্থানীয় দোকানপাট থেকে কোন পণ্য ক্রয় করতে দেয় না। এমনকি গতকাল ঘর সারতে কাঠ মিস্ত্রি নেই সে আজ এসে বলে কাজ করবো না। কেন কাজ করবা না জিঙ্গাসা করলে কাঠ মিস্ত্রি বলেন আমাকে তোমাদের বাড়ি কাজ করতে নিষেধ করছে। পরে প্রভাবশালী মহল আমাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। আমার বোন আহত হন। তার স্বর্নের চেইন একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায়। আমাদের একঘরে করে রাখার ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এই বিষয়ে আলগী ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওসমান মাতুব্বর বলেন, আমি একঘরে করে রাখার বিষয়ে কিছু জানি না। তবে আজকের সংঘর্ষের ঘঠনায় স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠক করে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

একঘরে করে রাখার বিষয়ে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান ম.ম সিদ্দিক মিয়াকে একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে সুশীল সমাজরে দাবি, একঘরে রাখা টা বরবর আদিম যুগের কাজ। এটা মোটেও আধুনিক সভ্য সমাজে কাম্য নয়। সমাজরে একটি অংশ কে বাদ দিয়ে কখনোই উন্নতি সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা সংঘর্ষ হতে পারে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেই। এখন এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

একঘরে করে রাখার বিষয়ে উপজলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিম উদ্দিন বলেন, এই বিষয়ে আমার জানা নেই। আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসে নাই, অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/এসএম/এসআই

Wordbridge School
Link copied!