• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবারে মামা-ভাগ্নে কাঁপাবে কুরবানির মাঠ


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জুন ১, ২০২৩, ১১:২১ এএম
এবারে মামা-ভাগ্নে কাঁপাবে কুরবানির মাঠ

গোপালগঞ্জ : এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ গোলদার নামে এক কৃষক তার নিজ বাড়িতে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ‘মামা’ ও ‘ভাগ্নে’ নামে দুটি ষাঁড় কুরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

এরই মধ্যে ২৬ মণ ওজনের মামা ও ২৪ মণ ওজনের ভাগ্নের দাম ১৫ লাখ টাকা হলেও বিক্রি করেননি গরুর মালিক সবুজ গোলদার। এদিকে ষাঁড় দুটিকে দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। আসছেন ক্রেতারাও।

জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে সবুজ গোলদারের নিজের পালিত দুটি গাভী থেকে জন্ম নেয় অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই দুটি ষাঁড়। জন্মের পর থেকে ষাড় দুটিকে পরম যত্নে লালনপালন করে আসছেন মালিক সবুজ গোলদার ও তার ছেলে সৌরভ গোলদার। ষাঁড় দুটো দেখতে যেন এক একটা পাহাড়। কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়া দেশীয় খাবার খাইয়ে এবারের ঈদের জন্য তাদের প্রস্তুত করা হয়েছে।

ষাঁড় দুটির খাবারের তালিকায় নেই কোনো প্রসেস ফিড। খড়, ঘাস, রান্না করা খিচুড়িসহ ভুট্টা, ভুসি, কুড়া, ছোলা ও খৈল মিশ্রিত দানাদার খাবার দেওয়া হয় ষাঁড় দুটিকে। কোনো ধরনের মেডিসিন ছাড়াই প্রকৃতিক খাবার খেয়ে এদের হয়েছে পেশিবহুল শরীর। প্রতিবেলায় চার কেজি দানাদার খাবার, দুই আটি ঘাস ও খড় খায় ষাঁড় দুটি। প্রতিদিন প্রতিটি ষাড়ের খাবার খরচ প্রায় ৭০০ টাকা।

প্রায় সাত ফুট লম্বা ও ছয় ফুট উচ্চতার ২৬ মণ ওজনের কালো রঙের দুষ্ট প্রকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘মামা’। আর সাত ফুট লম্বা ও সাড়ে পাঁচফুট উচ্চতার কালো লালচে রঙের শান্ত প্রকৃতির ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘ভাগ্নে’। ষাঁড় দুটি সম্পর্কেও মামা-ভাগ্নে।

এরই মধ্যে মামার দাম ৮ লাখ টাকা ও ভাগ্নের দাম ৭ লাখ টাকা হলেও বিক্রি করেননি ষাঁড়ের মালিক সবুজ গোলদার। মামার দাম ১০ লাখ ও ভাগ্নের দাম ৯ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এতো বড় ষাঁড় দেখতে প্রতিদিনই সবুজ গোলদারের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। এতো বড় ষাঁড় দেখে খুশি তারাও। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!