• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক সেবন ও নারীর সঙ্গে যুবলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল


জামালপুর প্রতিনিধি জুন ১১, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
মাদক সেবন ও নারীর সঙ্গে যুবলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল

জামালপুর : জামালপুরের বকশিগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা ও মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদুল ইসলাম মঞ্জুর মাদক সেবন ও নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একাধিক ছবি ভাইরাল হয়েছে। গত কয়েক দিন থেকে আপত্তিকর ওই ছবিগুলো সমাজমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা, সমালোচনা।

মঞ্জু বকশিগঞ্জ পৌর যুবলীগের সদস্য ও মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। একই সঙ্গে তিনি ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন। ২৭ মে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান হজে চলে যান। ফলে মঞ্জু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি বকশিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলামের বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত। ফলে নির্বাচিত এলাকা ও বকশিগঞ্জ শহরে তার ব্যাপক আধিপত্য রয়েছে। নানা অপকর্মে জড়িয়ে থাকলেও, তার অপকর্মে প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পান না। স্ত্রী ও সন্তান রেখে বিভিন্ন সময় নারী ও মদ নিয়ে ফুর্তি করাই তার নেশা।

গত বৃহস্পতিবার মঞ্জুর মদপান ও এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একাধিক ছবি সমাজমাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ছবির মধ্যে চারটি এক নারীর সঙ্গে ও একটি মদপানের।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, একটি ঘরের মধ্যে খাটে হলুদ পোশাক পরা এক নারী বসে আছেন, তার হাতে মঞ্জু টাকা দিচ্ছেন। আরেকটি ছবিতে ওই নারী ও মঞ্জু অন্তরঙ্গ অবস্থায় বসে আছেন। আরেকটি ছবিতে ওই নারী দাঁড়িয়ে আছেন আর খাটের ওপর মঞ্জু অন্য আরেক নারীর সঙ্গে বসে আছেন। আরেকটি ছবিতে ওই নারী ও মঞ্জু একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে আছেন।

পঞ্চম ছবিতে দেখা গেছে, কোনো একটি ডেকোরেটরের দোকানে টেবিলের ওপর বিদেশি একটি মদের বোতল রেখে মঞ্জু মদপান করছেন।

বকশিগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকায় মঞ্জুর ব্যাপক আধিপত্য। এলাকায় তিনি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। নারী ও মদ নিয়ে ফুর্তি করা তার নিয়মিত ঘটনা। তার ওয়ার্ডের সরকারি বরাদ্দের বেশির ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করে থাকেন তিনি। তার এসব অপকর্মের শেল্টার দিয়ে থাকেন বকশিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর। তাদের ওইসব অপকর্মে বকশিগঞ্জের বিশিষ্টজনরা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ। অনেকেই বলেছেন, কে শেল্টার দিল সেটা বিষয় নয়, তার দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

মঞ্জু বলেন, 'আমার কয়েকজন বন্ধু সেখানে জোর করে নিয়ে যায়। ওই মেয়ে একটু সমস্যায় পড়েছিল, তাই টাকা দিয়েছি।' তাকে ওই নারী সঙ্গে অন্তরঙ্গ ও মদপানের ছবির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ভাই ফোনে সব কথা বলা যাবে না, সাক্ষাতে বিস্তারিত বলতে পারব' বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

বকশিগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!