• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

রেলের জায়গায় পৌর কর্তৃপক্ষের বাজার, ভেঙে দিল রেল কর্তৃপক্ষ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি:  সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ১০:২৫ পিএম
রেলের জায়গায় পৌর কর্তৃপক্ষের বাজার, ভেঙে দিল রেল কর্তৃপক্ষ

লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম উপজেলা রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকট জায়গায় পাটগ্রাম পৌর কর্তৃপক্ষ কাঁচা বাজারের শেড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অর্থায়নে এ শেড নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপনের তিনদিনের মাথায় ২৬ সেপ্টেম্বর ভেঙে দিয়েছে লালমনিরহাট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি রেলস্টেশন সন্নিকট (অপারেশনাল ল্যান্ড) মাঠে কখনো কোনোদিন এ ধরণের শেড নির্মাণের সুযোগ নেই। অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। 

তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি নিয়ম মেনে রেলের এ জায়গায় শেড স্থাপনের অনুমোদন নেওয়া আছে। জানা গেছে, পাটগ্রাম রসুলগঞ্জ হাটবাজারে একাধিক কাঁচা বাজার শেড থাকলেও আবারও কাঁচা বাজারের শেড নির্মাণের উদ্যোগ নেয় পাটগ্রাম পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
 
পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গা নির্বাচন করে প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে দাগ, খতিয়ান, নকশা, ম্যাপ (চিত্র) সরবরাহ করে। জায়গার যাবতীয় তথ্যসহ শেড নির্মাণের প্রস্তাব গত প্রায় একবছর আগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে পাঠায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
  
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, এ দপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট ও প্রস্থ ২০ ফুট এবং চলাচলের জন্য ১০ ফুট পরিমাপের জায়গা বিশিষ্ট আটটি শেড নির্মাণ করে দেওয়ার অনুমোদন দেয় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষ। 
জায়গা নির্বাচন ও শেড নির্মাণের পর দেখভালের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের সে মোতাবেক কাঁচা বাজার শেড নির্মাণে নির্বাচিত স্থান প্রকল্পের প্রকৌশলীরা ঢাকা থেকে এসে দেখে যান।
 
গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ শেড নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। এ সময় পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম, পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন। 

ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপনের তিনদিনের মাথায় লালমনিরহাট রেল কর্তৃপক্ষ রেলওয়ে ও পাটগ্রাম থানা পুলিশকে নিয়ে বাজার নির্মাণ শেডের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক ভেঙে দেন। এ সময় ফলকটি উপজেলা স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে রাখা হয়। একই সময় রেল স্টেশনের কাছে অবৈধভাবে নির্মিত ৫ থেকে ৭ টি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়।
 
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের সহকারী ভূ-সম্পত্তি (রিয়েল এস্টেট) কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বৈধভাবে বন্দোবস্ত (লিজ) দেওয়া হলে সময় দিয়ে নোটিশ দেওয়া হত। রেলস্টেশন সন্নিকট (অপারেশনাল ল্যান্ড) মাঠে কখনো কোনোদিন এ ধরণের শেড নির্মাণের সুযোগ নেই। অফিশিয়ালি কোনো অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ কাজ করতেছিল বলেই উচ্ছেদ করেছি।’
  
পাটগ্রাম পৌরসভার প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম প্রধান বলেন, ‘ভেঙে দিয়েছে শুনেছি। লিজ নেওয়ার কাগজ আছে। চিঠিও দেওয়া আছে। কি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বুঝতে পারছিনা।’ 
 
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, ‘পৌর মেয়রকে রেলের জায়গার ব্যাপারে বারবার বলেছি, উনি বলেছিল সমস্যা নাই। এখন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে শুনছি যে উনারা (পৌর কর্তৃপক্ষ) অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু পারমিশন দেওয়া হয়নি। পারমিশনের ডকুমেন্ট না থাকলে ওখানে আর শেড নির্মাণ হবে না।’

এআর

Wordbridge School
Link copied!