সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শরতের শুভ্রতা ছড়াচ্ছে কাশফুল। আমাদের দেশে প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রুপ-বৈচিত্র। আর প্রকৃতির ধারাবাহিতকতায় শরত আসে তার নিজস্ব রুপ নিয়ে। বৈশ্বিক উষ্ণতা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে প্রকৃতি যখন তার চিরায়িত রুপ হারাচ্ছে। তখন সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, কামারখন্দ বেলকুচি, উল্লাপাড়া শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীর তীর, যমুনার চড়, বাঘাবাড়ির বড়াল নদীর তীরে, হুরাসাগর, নদীর তীওে, করতোয়া নদীর তীরে পুরান টেপরি গ্রামের সড়কের পাশে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে বাতাসে দোল খাচ্ছে সাদা কাঁশফুল। শরতের স্পর্শ পেতে তাই কাঁশফুলের কাছে দলে দলে ছুটছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিকেলের বেলায় মানুষ ভিড় করছে কাঁশবন গুলোতে।
আঁকাশের নীল রং আর কাঁশফুলের সাদা একত্র সমাবেশ কেবল শরতেই দেখা মিলে এই রুপসী বাংলায়। এসব কাঁশবন প্রকৃতি প্রেমীদের আকৃষ্ট করছে। কাঁশফুল আকাশের দিকে তাকিয়ে শুভ্রতা মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের। কাঁশবনে স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকা শিশু কিশোর ছুটে আসছে বাহারি ধরনের নতুন সাজে।
গাড়াদহ নদীর ধারে কাঁশবনে ঘুরতে আসা রবিউল ইসলাম নামে এক প্রকৃতি প্রেমী দর্শনার্থী বলেন, শরতের কাঁশফুল মনকে আকৃর্ষিত করে তাই এখানে বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রকৃতি ও আকাশ একত্রে মিলিত হয়েছে। আরেক দর্শনার্থী ডাঃ আব্দুর রহমান বলেন, ফেসবুকে পোষ্ট দেখে এখানে এসেছি। এতো কাঁশফুল আগে দেখা হয়নি। ব্যস্ততার মধ্যেও এখানে এসে সুন্দর সময় উপভোগ করলাম। সারাদিনের ক্লান্তি ঘোচাতে এমন অসংখ্য দর্শনার্থী বিকেল বেলা একটু শান্তি ও প্রকৃতির পরশ পেতে ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন কাঁশবনে।
এমএস







































