রংপুর: রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতিতে শ্বশুর বাড়ির দাওয়াতে এসে লাশ হলো জামাই। নিহত ওই জামাই একই এলাকার আয়নালের ছেলে আবু তাহের।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নুর হোসেন ও আবু কালামের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দের জেরে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে ৩০ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল নূর হোসেন ও আবু কালামের। জমির ওই ঘটনায় গত ১১ই অক্টোবর মারামারি হয় দুই পক্ষের। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম উদ্দিনের হস্তক্ষেপে মিমাংসা হয় দুই পক্ষের। মিমাংসা উপেক্ষা করে রোববার দিন থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় আবু কালামের লোকজন। মধ্যরাতে বেশ কিছু লোকজনসহ হামলা চালায় নূর হোসেনের বাড়িতে। সেসময় দাওয়াতে আসা নিহত আবু তাহের দরজা খুলে বের হলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের বড় সমন্ধি নুর হোসেন জানায়, ভগ্নিপতিকে দাওয়াত দিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া করে রাত হওয়ায় আর বাড়ি যেতে দেইনি তাকে। রাত অনুমান ২টা ৩০ মিনিটের দিকে বেশ কিছু ছেলেরা এসে আমার বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করে। আমার ছেলে ও ভগ্নিপতি বের হলের তাদের টেনে বের করে কুপালো। রাতেই মারাগেছে সে। তার কি দোষ ছিল কিছুই না জানা ছেলেটাকে এভাবে মারল। আমি তাদের চিনেছি। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহতের ছেলে রাসেল জানায়, আমার বাবাকে রাতে মামা দাওয়াত দিয়েছিল সেই দাওয়াতে এসেছিল বাবা। উনি তো কারো সাথে মারামারি করে নাই। উনাকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে কেন মারলো তারা। আমরা এতিম হলাম। আমার ছোট বোন আছে মাসহ কিভাবে চলবো কিছুই কুলকিনারা পাচ্ছিনা। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
ঘটনার বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুমুর রহমান জানায়, শুনেছি জমে জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে লোক পাঠিয়েছি বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি তবে কোন মামলা হয়নি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনালীনিউজ/একেএম/এসআই