সহকারী শিক্ষক সৌরভ কুমার, ছবি : সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নবম শ্রেণীর এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে রানীরহাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৌরভ কুমারের বিরুদ্ধে।
তিনি ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি পাশ্ববর্তী বগুড়া জেলার বিশালপুর ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামে। গত বুধবার বিকালে প্রাইভেট পড়ানোর সময় রানীরহাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে বিষয়টি জানাজানি পর ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীরা প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর ব্যবস্থা করে দিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি রানীরহাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে জানিয়েছেন, এখন বিদ্যালয় পূজার ছুটিতে বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় খোলার পর ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে সভা করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রনীরহাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌরভ কুমারের কাছে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছুটির পর ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় তাঁর অন্য সহপাঠীরা আসতে দেরি হওয়ায় সে একাই বসে ছিল। এ সুযোগে শিক্ষক সৌরভ ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে শরীরের সম্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। এ সময় ওই শিক্ষার্থী বাঁধা দিলে তাঁকে জোড় করে জাপটে ধরে যৌন হয়রানি অবহ্যত রাখেন। পরে নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী ভয়ে বই খাতা ফেলে পাশের একটি বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে ছাত্রীর মা-বাবাকে খবর দিলে তারা ওই বাড়িতে এসে তাঁদের মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থী সভা করে একটি লিখিত অভিযোগ প্রধান শিক্ষক বরবার প্রদান করেন।
অপর দিকে বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক অভিযোগে করে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের কয়েকটি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা অবগত আছেন। তাঁরা আরো অভিযোগ করে বলেন, নানা অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্থ হয়েছিলেন। তিনি ফিরে আসার পর আবারও বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যার বিচার হওয়া দরকার।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সৌরভ কুমার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
আর রানীরহাট সিরাজগঞ্জ বাজার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল খালেক বলেন, বিষয়টিও আমিও জেনেছি। বিদ্যালয়ের ছুটি শেষ হলে ম্যানেজিং কমিটির সভা করে ঘটনা তদন্তে কমিটি করে দেব।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালাম বলেন, সংবাদ কর্মীরা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন, আমি ফোন করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে রবিবার অফিসে আসতে বলেছি। তিনি এলে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনালীনিউজ/টি/এসআই







































