• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিনবিঘা করিডোরে গাড়ি চলাচলে বিএসএফের বাধা


পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি  জানুয়ারি ২৩, ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
তিনবিঘা করিডোরে গাড়ি চলাচলে বিএসএফের বাধা

সংগৃহীত ছবি

পাটগ্রাম: লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র সড়কপথ তিনবিঘা করিডর দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) টহল দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে। যাত্রীবাহী বাস, ট্রাকের পর মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পাকা রাস্তা নির্মাণের জন্য রোলার নিয়ে যেতে বাধা দেয় তিনবিঘা করিডর সড়কে দায়িত্বরত বিএসএফের সদস্যরা।

এদিন দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলামকে এসব অভিযোগ জানান দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান। সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নে প্রবেশের সড়কের প্রায় অদূরে প্রায় ৫শ মিটার দূরে রাখা হয়েছে একটি রোড রোলার।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাটগ্রাম জানায়, ভিলেজ রোড রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্টের (ভিআরআরপি) আওতায় দহগ্রামের রোটারী ক্লাব বাজার হতে জিপিএস ভায়া আব্দুর রহমানের বাড়ির নিকট পর্যন্ত একহাজার ৬ শত ৬৫ মিটার পাকা রাস্তা নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আদিতমারী উপজেলার মেসার্স হাকিম এন্টার প্রাইজ। ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ রাস্তা নির্মাণের কাজ গত প্রায় ১ মাস আগে শুরু করা হয়। রাস্তা মজবুত করতে রোড রোলারের ব্যবহার প্রয়োজন। ঠিকাদারের লোকজন রোলার নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ বাধা দেয়। এতে নির্মাণ কাজ ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, তিনবিঘা করিডর সড়কে টহলরত ভারতের ৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তিনবিঘা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা প্রায়ই ট্রাক, যাত্রীবাহি বাস চলাচলে বাধা দেয়। পরে বিজিবি তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। উভয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ (বিজিবি-বিএসএফ) আলোচনা করে দীর্ঘসময় পর চলাচলের অনুমতি দেয়। অনেক সময় অনুমতি মেলেনা।

রোলারের চালক আমিনুর রহমান বলেন, ‘দুপুর ১ টার দিকে দহগ্রামে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজে রোলার ব্যবহারের জন্য করিডর সড়কের পূর্ব দিকে গেটের কাছে নেওয়ার সাথেই চার জন বিএসএফ সদস্য এসে বাধা দেয়। এ সময় বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা এগিয়ে আসে। অনেক কথা বলার পরও তাঁদের টাইলস্ করা সড়ক দিয়ে রোলার নিয়ে যেতে দিবেনা বলে জানায়।’

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দহগ্রাম ইউনিয়নে চলাচলের একমাত্র এ সড়কটি দিয়ে চলাচলে আমরা প্রায়ই বিএসএফের হয়রানির শিকার হই। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচলে বাধা দেয়। তাঁরা (বিএসএফ) বলে ভারি যানবাহন চলাচল করতে দিবেনা। ইদানিং এ ধরনের সমস্যা করছে, আগে এ ধরনের সমস্যা করত না।’

বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ক্যাম্পের সুবেদার আমানুজ্জামান আমান বলেন, ‘তিনবিঘা করিডর সড়ক দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে অনেক সময় বিএসএফ বাধা দেয়। রোলার নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে, তাঁরা (বিএসএফ) জানায় সরাসরি না চালিয়ে ট্রাকে বা ট্রলিতে নিয়ে যেতে। এ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তিনবিঘা ক্যাম্প কমান্ডারকে আহবান করেছি।’ 

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়ি চলাচলে বিএসএফের বাধা দেওয়ার বিষয়টি দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। যেহেতু দুই দেশের বিষয় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’

ওয়াইএ

Wordbridge School
Link copied!