• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা


পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি  জানুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম
ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের বীজতলা

ছবি প্রতিনিধি

পাটগ্রাম: তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা শীত ও কুয়াশার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকনাশক ছিটিয়েও ফল পাচ্ছেন না। প্রকৃতির এ রূপ দীর্ঘ সময় থাকলে এবার উপজেলায় বোরোর চারার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রামে এবার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। বীজতলার চারা দিয়ে ৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা সম্ভব হবে। কিন্তু টানা শীত আর ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় এবার চারা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকেরা।

উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমাড়া গ্ৰামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, বোরোর বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশায় বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে নতুন করে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে। যারা পৌষের শুরুর দিকে বীজতলা তৈরি করে বীজ ফেলেছেন, তাঁরা সেই বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে শীত ও কুয়াশা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা বলেন, ধানের বীজতলার অর্ধেকই শীত ও কুয়াশার কারণে মরে যাচ্ছে। কৃষকেরা বীজতলা রক্ষায় ব্যাভিস্টিন, স্কোর, ডুডু, থিওভিটসহ বিভিন্ন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তাতে কোনো ফল পাচ্ছেন না।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশায় বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে শত শত বীজতলায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যারা পলিথিন দিতে পারেননি, তারা খড় দিয়ে ঢেকে রাখছেন। কেউবা বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার বলেন, শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যদি এ রকমই আবহাওয়া থাকে ও বীজতলা বিবর্ণ হয়ে যায়, তাহলে প্রতি শতকে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এরপরও যদি না হয়, তাহলে প্রতি শতকে ১০ গ্রাম হারে জিপসাম সার দিলে বিবর্ণ হওয়া কেটে যাবে। দেরিতে বপন করা বীজতলাগুলোর চারা শীত ও কুয়াশায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টা করে রোদ পাওয়া গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার বিষয়ে আব্দুল গাফ্ফার জানান, ‘এখন যারা বীজতলা তৈরি করছেন, তাদের আমরা কাদা না করে শুকনা বীজতলা তৈরি করে বীজ বপন করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। আবার অনেকে শীত ও কুয়াশা থেকে বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। এটা আধুনিক প্রযুক্তি। এতে ক্ষতির সম্ভাবনা খুব কম।’

ওয়াইএ

Wordbridge School
Link copied!