• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁপছে সীমান্ত, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের


কক্সবাজার প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪, ১১:৩০ এএম
কাঁপছে সীমান্ত, সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের

কক্সবাজার : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত দিনদিন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। টানা গুলি বর্ষণ, মর্টারশেলসহ বিস্ফোরণের শব্দ কম্পন বাড়ছে সীমান্ত এলাকাজুড়ে।

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শুনা যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহিন ইমরান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন, কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন থেকে শুরু করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় এমন শব্দ শুনা যাচ্ছে। এসব এলাকায় অন্তত এক লাখের বেশি বাসিন্দা রয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, মিয়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া গুলি, মর্টার শেল এসে পড়ছে সীমান্তের এপারের বসত ঘরে। এর প্রেক্ষিতে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার নিদের্শনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাউকে সরানো হয়নি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমান্তের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।

তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে আনতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!