• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘হেক্সিসলে হাত ধুয়েও ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা’


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি মার্চ ৯, ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
‘হেক্সিসলে হাত ধুয়েও ভোট দিতে পারছেন না ভোটাররা’

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে সময় লাগার অভিযোগ করছেন। একটি ভোট দিতে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় লাগছে কখনো কখনো। অনেকে হেক্সিসল দিয়ে হাত পরিষ্কার করেও ভোট দিতে পারছেন না।

শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় শুরু হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নগরীর ১২৮টি কেন্দ্রে ৯৯০টি বুথ রয়েছে।  নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ি এলাকার প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এখানে ৮টি বুথে ভোট দেবেন ৩ হাজার ৭৭ জন পুরুষ ভোটার।

সকাল পৌনে দশটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৪৩টি। অর্থাৎ, এই সময়ের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮ শতাংশ। তবে অনেকে ইভিএমে ভোট দিতে না পেরে ফিরে গেছেন।

প্রায় ১০ মিনিট ধরে চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি মো. বশির। তিনি যে বুথে ভোট দেওয়ার কথা সেখানে আরেক ভোটার তার আগে ১০ মিনিট চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি। তিনি কক্ষে রাখা হেক্সিসল দিয়ে বারবার বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিষ্কার করছিলেন। তবুও সম্ভব হয়নি।

বশির জানান, তার আঙুলের ছাপ মেলেনি। তাকে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাসায় গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আবার আসার কথা বলছেন।

বাইরে ভোট দেওয়ার লাইনে অপেক্ষারত ভোটার তারাপদ রায় উত্তেজিত হয়ে বলেন, এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি। এখনো ভোট দিতে পারিনি।

এই কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, তার কক্ষে ভোটার ২৪২ জন। ভোট পড়েছে ২৬ টি। অনেকেই ইভিএম বুঝতে পারছে না। উল্টো পাল্টা চাপ দিচ্ছে। এতে মেশিন হ্যাং হয়ে যায়। আবার অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না।

একই অবস্থা নারী ভোটের বুথেও। নয়টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২২০ জন। প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৩১টি অর্থাৎ ৭ শতাংশ। এখানেও একেকটি ভোট দিতে সময় লাগছে ৮ মিনিটের বেশি। ভোট না দিয়ে ফেরত আসেন লাইলী বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার আঙুলের ছাপ মেলেনি।’

সকাল ৮টা থেকে ষাটোর্ধ্ব এই নারী ভোট দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করেও পারেননি। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে তিনি ফিরে যান। তার সঙ্গে থাকে মারুতী রানীও ভোট দিতে পারেননি। একই সমস্যার কারণে তিনিও ফিরে যান।

লাইলী বেগম কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলামের কাছে সমাধান চাইলে কোনো সমাধান মেলেনি। এই নারীকেও বাসা থেকে হাত পরিষ্কার করে আসার উপদেশ দেন তিনি।

নুরুল ইসলাম বলেন, যাদের এমন সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ৩ শতাংশ ভোট প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দিতে পারেন। তবে বেশির ভাগের আঙুলের ছাপ মিলছে না। আর এই সংখ্যা বেশি নারীদের। রান্নার কাজের জন্য আঙুলে সমস্যা হয়।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!