কক্সবাজার: টেকনাফে নাফ নদীর জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হওয়া ১২২ জন জেলেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ৯৩ জন রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে, আর ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে তাদের ট্রলার মালিক ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর।
তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড জেলেদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। পরে জেলা প্রশাসন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের সিদ্ধান্তে রোহিঙ্গাদের এপিবিএনের মাধ্যমে ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
আর বাংলাদেশি জেলেদের টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে ট্রলার মালিক সমিতির মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে জলসীমা অতিক্রম না করার শর্তে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, শুক্রবার সকালে জালিয়াপাড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ মোহনা পর্যন্ত নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জেলেকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্তের বড় অংশ আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ফলে এ এলাকায় প্রবেশ করলে জেলেদের অপহরণের ঝুঁকি থাকে, যা কোস্ট গার্ড ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধেও নতুন চাপ তৈরি হচ্ছে।
ট্রলার মালিকরা দাবি করেছেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে ডুবোচরের কারণে জেলেদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তা না হলে মাছ ধরা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত আট মাসে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ জেলেকে অপহরণ করেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বর্তমানে তাদের হাতে ৫১ জন বাংলাদেশি জেলে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ ২৮ আগস্ট এক মতবিনিময় সভায় জানান, জিম্মি জেলেদের মুক্তির জন্য আনঅফিসিয়ালি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে, যাতে নতুন করে আর কোনো জেলেকে অপহরণ না করা হয়।
এআর







































