• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

সিলেটে পাথরের পর বালু লুট: ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা


সিলেট ব্যুরো অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৬:৫৮ পিএম
সিলেটে পাথরের পর বালু লুট: ১৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা

ছবি: প্রতিনিধি

সিলেটে সাদাপাথরের অবৈধ উত্তোলনের ঘটনায় জোরদার অভিযান চলার পর এবার সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদীর বালু লুটের ঘটনা সামনে এসেছে। এ ঘটনায় ৮৮ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রথম মামলা দায়ের করেন নদীর ইজারাদারের পক্ষে মোশারফ হোসেন আরিফ তালুকদার। গত ১৪ অক্টোবর তিনি ৫১ জনকে নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। এর একদিন পর, ১৫ অক্টোবর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

তদন্তে জানা গেছে, যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহলের ইজারা সীমানার বাইরে গত ৬ থেকে ৯ অক্টোবর রাতের আঁধারে নদীর পাড় কেটে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। নদীর ভৌগোলিক কাঠামো, পরিবেশ, মৎস্য ও জলজ প্রাণী এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুটি মামলায় লাউড়েরগড় গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে খাজা মাইনউদ্দিন (৬৫), পুরাণ লাউড় গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে মোঃ আক্কাছ (৫৩), লাউড়েরগড় গ্রামের কিবরিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম মাস্টারসহ মোট ৮৮ জনকে নামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নদীর ইজারাদার নাসির মিয়া বলেন, “আমরা নদীর পাড় কাটার বিরুদ্ধে সবসময় অবস্থান নিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। আদালতের নির্দেশনা মেনে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি এবং পাহাড়াদার বসিয়েছি যেন কেউ নদীর পাড় কাটতে না পারে।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোহাইমিনুল হক বলেন, “নদীর পাড় কেটে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হওয়ায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করব।”

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এসএইচ
 

Wordbridge School
Link copied!