• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা-তারেকসহ ৬ জনের মানহানি মামলার আদেশ আজ


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১০, ২০২০, ১০:৫১ এএম
খালেদা-তারেকসহ ৬ জনের মানহানি মামলার আদেশ আজ

ফাইল ছবি

ঢাকা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী এ মামলা দায়ের করেন। 

এ মামলার অন্য আসামি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হেফাজত ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মানুনুল হক ও ইসলামিক শাসনতন্ত্রের সৈয়দ ফয়জুল করিম।

এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহন করেন। তারপর সন্ধ্যায় বিচারক মামলাটি আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের একটি আলোচনা সভায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের ভাস্কর্য থাকবে না এবং জাতির পিতার ভাস্কর্য করতে দেওয়া হবে না।

অভিযোগে আরো বলা হয়, 'গত ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম হাটহাজারিতে হেফাজত ইসলামের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির জুনায়েদ আহমেদ বাবু নগরি বলেন, মদিনার সমাদর নিয়মে যদি দেশ চলে তাহলে কোন প্রকার ভাস্কর্য থাকতে পারবে না । ভাস্কর্য নির্মান বন্ধ না করলে আরো একটি শাপলা চত্ত্বর ঘটাবেন বলে সরকারকে হুমকি দেন। এর আগেও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শাপলা চত্ত্বরে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সকাল ৬ টার মধ্যে শেখ হাসিনার পতন ঘটাবেন। তোমরা সেভাবে কাজ চালিয়ে যাও। তার পর বাবুনগরির হুকুমে হেফাজত ইসলামের জঙ্গিবাদীরা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অগ্নি সংযোগ করে পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলেন। স্বাধীনতার পর থেকেই এই উগ্রপন্থি স্বাধীনতা বিরোধীরা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এবং জাতির পিতা, দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিশ্বের কাছে দেশকে হেয়প্রতিপন্ন করছে। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে ইসলামিক শাসনতেন্ত্রর একটি জনসভায় প্রধান বক্তার ব্যক্তব্যে ফয়জুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে যদি কোন ভাস্কর্য তৈরি করা হয় তাহলে সব ভাস্কর্য ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আবারও শাপলা চত্ত্বরে জমায়ত করা হবে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিত গোষ্ঠী জামাত আলবদর রাজাকার যুদ্ধ অপরাধীরা পরাজিত হয়ে ১৯৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর খুনি নেতৃত্ব দানকারী মেজর জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য জামাত শিবিরসহ উগ্রপন্থি ইসলামিক দলগুলো স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার জন্য অপকর্ম, বিশৃঙ্খলতা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ও জাতির পিতার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য অপপ্রচার চালিয়ে দেশে জনগনের মধ্যে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। যা দেশের জনগনের ভিতরে একটি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে ভূল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে।

এরপর থেকেই এই দেশে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি দালালেরা একের পর এক কৌশলে দেশ বিরোধী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৪ সালে ২১ শে আগষ্ট পাকিস্তানি দালাল চক্র বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এই জঙ্গবাদিদের সাথে ঐক্যজোট করে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তার ছেলে তারেক রহমানকে দিয়ে জঙ্গিবাদিদের দিয়ে গ্রেনেট হামলা করে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৪ সালে জামাত শিবির ও বিএনপির গুন্ডাবাহিনি দিয়ে ভয়াবহ পেট্রল বোমা মেরে হাজার হাজার নিরিহ জনগনকে হত্যা করে। 

এমতাবস্থায় আবার এই স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানিদের দালাল চক্র বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ইসলামিক জঙ্গিবাদি গোষ্ঠী জাতির পিতার ভাস্কর্য বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন কার্যকলাপ ও সংঘাত সৃষ্টি করে তাদের গুন্ডা বাহিনি দিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়াতে জাতির পিতার ভাস্কর্যের একটি হাত ভেঙ্গে দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের মধুর ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙ্গে দেয়। তাই বাদী মনে করেন, যে পিতার নেতৃত্বে এই দেশের জন্ম হয়েছে। একটি স্বাধীন বাংলাদেশ সেই পিতার হাত ভেঙ্গে এই বিএনপি জামাত হেফাজত ইসলাম, ইসলামিক শামসনতন্ত্র এই সমস্ত ইসলামিক সংগঠনগুলো যারা এই দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে পাকিস্তান বানানোর পরিকল্পনা করে এবং স্বাধীনতার স্থাপক জাতির পিতার নাম এই দেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে চায়। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসমীগণের বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ৫০০/৫০৬/১০৯ ও ৪২৭ ধারায় আসামী করে, অপরাধ আমলে নিয়ে আসামিগণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করছি।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!