• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
একনেকে ৪ প্রকল্প অনুমোদন

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১, ২০২০, ০৬:৪৫ পিএম
তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধার্য

সংগ্রহীত ছবি

ঢাকা: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বহুল কাঙ্ক্ষিত তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধার্যসহ চার উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটির লক্ষ্য দেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা। নতুন এ সংযোগ থেকে বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে ৬ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সাপ্তাহিক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং একনেকের অন্য সদস্যরা এনইসি ভবন থেকে যুক্ত ছিলেন।

সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম জানান, আজ তিন মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের মোট আনুমানিক ব্যয় ২ হাজার ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা (এখানে তিন সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় শুধু যোগ করা) ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৪৪০ কোটি ৮৭ লাখ, সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ৩০০ কোটি ৮৩ লাখ এবং বাকি ৩৭৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বিশ্বব্যাংক ও চীনের কাছ থেকে বিদেশি ঋণ হিসেবে আসবে।

পরিকল্পনা কমিশনের আরেক সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ ৬৯৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পটি সম্পর্কে জানান যে বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপিত হলে দেশের ব্যান্ডউইথ প্রতি সেকেন্ডে ৬ টেরাবাইট বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদ ২০২৫ সালে উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। তাই নতুন প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। আর প্রথম ক্যাবলটি ১৫ বছরের পুরোনো হওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সেবা বিঘ্নিত হওয়ার হার বেড়েছে।

প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ গত ২০০৫ সালে এবং দ্বিতীয়টি সি-মি-উই-৫ ২০১৭ সালে চালু হয়।

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ-৬ (সি-মি-উই-৬) ক্যাবলে যুক্ত হবে। এটি সিঙ্গাপুর থেকে ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগর হয়ে ফ্রান্স পর্যন্ত প্রসারিত থাকবে।

মূল প্রকল্পের মাঝে থাকছে ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটারের মূল সাবমেরিন ক্যাবল এবং ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটারের শাখা সাবমেরিন ক্যাবল বসানো।

প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওর, বিল ও চরসহ দেশের সব দূরবর্তী এলাকায় সেবা প্রসারিত করতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) নির্দেশ দেন বলে জানান মামুন-আল-রশিদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অঞ্চলের বিটিসিএল কভারেজের বাইরে থাকা উচিত নয়। তথ্য-ইউএনবি

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!