• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বাজারে বৃষ্টির প্রভাব, সবজির দাম চড়া


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৮, ২০২৩, ১১:৩৯ এএম
বাজারে বৃষ্টির প্রভাব, সবজির দাম চড়া

ঢাকা: কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম চড়া। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। সবজির পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও ডালের দাম।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি শসা ৮০ টাকা, কচুমুখী ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, চালকুমড়া প্রতিটা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সেগুনবাগিচা ও হাতিরপুল কাঁচা বাজারে খুচরা পর্যায়ে এ মানের পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। তুলনামূলক দুর্বল মানের দেশি পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ৮০ টাকার আশপাশে। আমদানি করা ভালো মানের পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং দুর্বল মানের পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চার-পাঁচ দিনে দেশি রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের দামও ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, যে কোনো পণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কমে ধীরগতিতে। আবার কমলেও আগের পর্যায়ে নেমে আসে না। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না। এ জন্য বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

মালিবাগ কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সব সবজির দামই বেড়ে গেছে। বাজারের পরিস্থিতি ভালো না। বৃষ্টির আগে বাজারে সবজির দাম কম ছিল। বৃষ্টির ওপরেই নির্ভর করছে কাঁচাবাজার।’

ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, ‘টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে কৃষক ক্ষেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। এতে পচে যাচ্ছে সবজি। মূলত এসব কারণে পাইকারি বাজারে সবজি আসা কমে গেছে। এখন যেসব জায়গা থেকে সবজি আসছে, তা চড়া দামেই আমাদের কিনতে হচ্ছে। এ জন্য বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।’

কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা এক নারী ক্রেতা নাজমা বেগম বলেন, ‘বাজার করতে এসে তরকারি দাম শুনে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। বাজারে সবজির দাম এত বাড়ছে, কল্পনাই করা যায় না। বৃষ্টির কারণে নাকি সবজি আসে নাই। তাই দাম বেশি। কিন্তু খাইতে তো হবে। তাই বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে।’

ক্রেতা মহিবুল্লাহ বলেন, ‘বাজারে সব ধরনের সবজি আছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি। বিক্রেতারা বাড়তি দরে বিক্রি করছেন তাই কেনার উপায় নেই। বাজারে যদি সংকট থাকত, তা হলে মানা যেত। কিন্তু সংকট নেই বলেই মনে হচ্ছে। এতো দাম যে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সবজি কিনতেও কষ্ট হচ্ছে।’

এদিকে মাছের বাজারেও শান্তি নেই। এক বছর আগে এক কেজি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, সেটি এখন কিনতে হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দিয়ে। ফার্মের মুরগির ডিম এখনো প্রতি ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। 

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!