• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাংক ঋণের তথ্য চেয়ে বিএলআই ক্যাপিটালকে বিএসইসির তলব


নিজস্ব প্রতিনিধি আগস্ট ২৭, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
ব্যাংক ঋণের তথ্য চেয়ে বিএলআই ক্যাপিটালকে বিএসইসির তলব

ফাইল ছবি

ঢাকা : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড তালিকাভুক্ত অপর কোম্পানি বে লিজিং ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএলআই ক্যাপিটাল লিমিটেডকে ২০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে কোম্পানিটির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসি ব্যাংকটিকে প্রি-প্লেসমেন্ট হিসাবে ১ কোটি ৫০ লাখ ইএম পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার কেনার অনুমোদন এবং বিতরণ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাংকটি ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রিমিয়ামসহ মোট ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ইএম পাওয়ার লিমিটেডেরশেয়ার কিনেছে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে বিএসইসি একই ঋণদাতার কাছ থেকে ঋণের মাধ্যমে প্রাপ্ত শেয়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পদে একজন ব্যক্তির স্থানান্তর সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি ব্যাংকের ইএম পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার কেনার বিষয়েও তদন্ত করবে। গত ২০ আগস্ট এক চিঠির মাধ্যমে বিএসইসি ব্যাংকটিকে ৩০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটির কাছে সব নথিপত্র জমা দিতে বলেছে।

অন্যদিকে, ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে বিএসইসি-তে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর বিএসইসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। ঋণ অনুমোদন লঙ্ঘন ও অপব্যবহারের তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় গত ডিসেম্বরে ব্যাংকটির তৎকালীন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল হোসেনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাউথইস্ট ব্যাংকের পর্ষদ মার্চেন্ট ব্যাংক বিএলআই ক্যাপিটালকে ২০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। ঋণের অর্থের একটি অংশ সাউথইস্ট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন পরিচালক রায়ান কবিরের বিও অ্যাকাউন্টে বিএলআই সিকিউরিটিজের অ্যাকাউন্টে পাঁচটি পে অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বিরুদ্ধে যায় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। .

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ঋণ ব্যবহার করে রায়ান কবির সেই বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ কোটি টাকার ব্যাংকের ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন এবং ২০২০ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের পর্ষদে বসেন।

গত বছরের মে মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই সার্কুলার অনুযায়ী রায়ান কবিরকে পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

এএইচ

Wordbridge School
Link copied!