• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

চার স্বতন্ত্র পরিচালক পেল আরএসআরএম


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ১২:১৯ পিএম
চার স্বতন্ত্র পরিচালক পেল আরএসআরএম

ঢাকা :  দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) লিমিটেডে চার স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিএসইসির পক্ষ থেকে কোম্পানিকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশফিকুর রহমান, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আশিষ তালুকদার। এর মধ্যে বিএসইসি কোম্পানির চেয়ারম্যান পদে একেএম শামীম চৌধুরীকে সুপারিশ করেছে।

কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রুপটির ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন কর্মী উৎপাদনে নিয়োজিত ছিল। সেই সময়ে কোম্পানির বার্ষিক টার্নওভার ছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি।

এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্রুপের দুটি ইস্পাত কারখানা দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া এবং কার্যকরী মূলধন ঘাটতির কারণে রড উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এর মালিক রতনপুর গ্রুপ। চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে নেওয়া মোট আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপির অভিযোগে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ব্যাংকগুলোর দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় রতনপুর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাকসুদুর রহমান, চেয়ারম্যান শামসুন নাহার রহমান, এমডির ভাই ইউনুস ভাইয়া, দুই ছেলে মিজানুর রহমান ও মারজানুর রহমান এবং মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিনকে আসামি করা হয়। এসব সমস্যার মধ্যেও কোম্পানিটি কয়েক বছর ধরে লভ্যাংশ সুপারিশ করতে না পারায় শেয়ারহোল্ডাররা তাদের প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়াও দুটি প্ল্যান্টের পুনরায় খোলার বিষয়টি আজ পর্যন্ত অনিশ্চিত রয়েছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্য থেকে কোম্পানিটিকে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বাধীন পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত আগস্টে কোম্পানিটির সার্বিক ব্যবসার অবস্থা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!