• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

এমপিওভুক্তির এক বছর পরও মিলছে না সরকারি বেতন


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৪, ২০২০, ০৯:১৩ পিএম
এমপিওভুক্তির এক বছর পরও মিলছে না সরকারি বেতন

ঢাকা: মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)-এর ঘোষণার পরও দীর্ঘ একবছর কারিগরি, ভোকেশনাল ও কৃষির ৪৮৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬০০ শিক্ষক বেতন পাননি। তাদের অভিযোগ, কারিগরি অধিদপ্তরের গড়িমসির কারণে এখনো বেতন-ভাতা না পাওয়া যায়নি।

তবে, কারিগরি অধিদপ্তর-সূত্র বলছে, যাচাই-বাছাই করতে সময় লেগে যাচ্ছে।

জানা গেছে, সাড়ে ৯ বছর পর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয় সরকার। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এই অনুষ্ঠানে সারাদেশের ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি বেতনের আওতায় আসেন।  

রাজধানীর একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাধারণ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা অনেকদিন থেকেই এমপিওর অর্থ তুলছেন। অথচ কারিগরি, ভোকেশনাল, কৃষি ও বিএম শাখার শিক্ষকদের ইনডেক্স নম্বর এখন পর্যন্ত  দেয়নি কারিগরি অধিদপ্তর।’

জানা গেছে, এমপিওভুক্তির জন্য কাগজপত্র চলতি বছর মে মাসে অধিদপ্তরে জমা দেন এসব শিক্ষকরা। এরপর কারিগরি অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বোর্ড থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাই করে জমা দিতে হবে। অথচ সাত মাস পার হলেও এই বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন, এই বছর জুলাইয়ের এক তারিখ থেকে বেতনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ জেনারেল ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা এমপিওর টাকা তুলছেন। কিন্তু আমাদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি।

কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক নেতা বলেন, ‘এর আগে সরকার ঘোষিত দাবি বাস্তবায়নে অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় কারিগরি সচিব দাবি বাস্তবায়নে আশ্বাস দিয়েছিলেন। যা এখনো পূরণ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট যাচাই করতে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলছে এটা অধিদপ্তরের কাজ। আবার করোনার সময় অনেকদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আমরা জানিনা কেনো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও আটকে আছে আমাদের এমপিও। এখন আমরা যাবো কোথায়?’

এ বিষয়ে কারিগরি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এমপিও) বিমল দে বলেন, ‘অনেক শিক্ষকের কাগজে ত্রুটি থাকায় সময় লাগছে। এছাড়া, দেখা গেছে অনেক শিক্ষকের চাকরির নিয়োগেও ঝামেলা আছে।’

কতজন শিক্ষকের বেতন আটকে আছে জানতে চাইলে বিমল দে বলেন, ‘গত সপ্তাহে ৭৪ জন শিক্ষকের এমপিও আমরা ছাড় করেছি। আমি এই অধিদপ্তরে নতুন। তবে, আমার জানা মতে, ২৬০০ শিক্ষকের এমপিও এখনো আটকে আছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (এমপিও) উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘আমরা ৪৮৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও’র অনুমোদন চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল অনুমোদন করেছি। এরপর অধিদপ্তর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও-ইনডেক্স অনুযায়ী নিশ্চিত করবে। এখন যদি কেউ মনে করে অধিদপ্তর সমস্যা করছে, তবে সেটির অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে।’ মন্ত্রণালয় অবস্থা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানান।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!