• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

পাবিপ্রবির ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ


পাবনা প্রতিনিধি: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৯:৫২ পিএম
পাবিপ্রবির ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

পাবনা: মেসে থাকা জৈষ্ঠ শিক্ষার্থীদেরে হাতে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন শিমু রানী তালুকদার নামে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবপ্রবি) এক ছাত্রী। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শবর্তী রব্বেজ টাওয়ারে (ছাত্রীনিবাস) এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিমু রানী তালুকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শবর্তী ৫ তলা বিশিষ্ট রব্বেজ টাওয়ারে অনেক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে নিজেদের রুমে ডেকে নেন পরিসংখ্যান বিভাগের রুকাইয়া খাতুন, সাদিয়া পারভিন সোমা, তাসলিমা, গুলনাহার, সুমাইয়া, সাকিলা, সুমাইয়া, লোকপ্রশাসন বিভাগের সায়েদা সুলতানা শাওন, ইংরেজি বিভাগের ইসরাত জাহান ইমু সহ মেসের কয়েকজন।

জৈষ্ঠ আপুরা তাকে মেসের ছাদে ডেকে নিয়ে ম্যানার শেখানোর নামে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এভাবে রাত এগারোটা পর্যন্ত এভাবে চলার পর শিমু অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর ঐ আপুরা এম্বুলেন্স ডেকে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে রাতেই পুনরায় মেসে নেয়া হয়। 

ভুক্তভুগী শিক্ষার্থী শিমু রাণী তালুকদার বলেন, আমি অনেকদিন থেকে অসুস্থ। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে বড় আপুরা বিভিন্নভাবে আমার দোষ ধরে যাচ্ছেন। আমার ব্যবহার ভালোনা, সালাম দেই না, সম্মান করিনা এভাবে নানা বিষয়ে দোষ ধরতে থাকেন। আমাকে উনারা মেসের ছাদে ডেকে  নিয়ে যান। সেখানে আমাকে ম্যানার শেখানোর নামে বকাঝকা করতে থাকেন। এরপর আমার শরীর খারাপ লাগলে আমি ওয়াশরুমে যাই, কিন্তু উনারা আমাকে ওয়াশরুমে থেকে আবার ছাদে নিয়ে যায়। তখন আমি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি পরে উনারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছেন মেস মালিক আবুল কালাম আজাদ। আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাতে ১০ জন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মেসের সিনিয়র কিছু শিক্ষার্থী ওপরে ডেকে নিয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকজন আসছিল। সে একটু অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল আর কি।’

তবে ঐ শিক্ষার্থীকে হেনস্তার বিষয়টি অস্বীকার করেন জৈষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ইসলাম বলেন, তাকে কোনোরকম মানসিকভাবে কোন হেনস্তা করা হয়নি। আমরা শুধুমাত্র মেসের নিয়মকানুন জানানোর জন্য সব জুনিয়রকে ডেকেছিলাম। শিমুর অসুস্থতার ব্যাপারে আমরা জানতাম না।

এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি খোঁজখবর নিয়েছি। এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। যেতে বিষয়টি অন্য বিভাগের শিক্ষার্থী। এজন্য আমি তো তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি না। এবিষয়ে আমি প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।

শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, এরকম ঘটনা আমিও শুনেছি। ওই শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল তা জেনে পরে বলতে পারবো

এআর

Wordbridge School
Link copied!