ঢাকা : বর্তমানে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পুরুষ ও নরীর যোগ্যতা স্নাতক (২য় বিভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী প্রথমবারের মতো একটি গ্র্যাজুয়েট ব্যাচ নিয়োগ পেয়েছে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তরে শিক্ষকদের বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদায় ১৩তম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়। এ ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা।
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে আমরা দেখি, হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের উপপরিদর্শক, হাসপাতালের নার্স, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব— এদের নিয়োগের যোগ্যতা স্নাতক, বেতন গ্রেড ১০ম; কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য যোগ্যতা স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) হওয়ার পরও বর্তমানে ১৩তম গ্রেডের বেতন নির্ধারণ করা হয়, যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মাস্টার্স, বিএড, ডিপিএড ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবী হিসেবে গণ্য হবেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
শিক্ষকতা শুধু পেশা নয়; একজন শিক্ষককে দীর্ঘদিনের চর্চার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে শ্রেণি পাঠদান করতে হয়। একজন দায়িত্বশীল শিক্ষকই শিক্ষার্থী, সমাজ ও দেশকে পরিবর্তন করতে পারেন। ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা হলে সহকারী শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে; শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে। সূত্র : গাজী আরিফ মান্নান, ফুলগাজী, ফেনী।
এমটিআই