• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিতর্ক কেন?


নিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ১১:২১ এএম
নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিতর্ক কেন?

ঢাকা : প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের তিন শ্রেণির পর আরও চার শ্রেণিকে নতুন শিক্ষাক্রমের আওতায় আনার এক মাস আগে তুমুল বিতর্কের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সরকারকে।

রাস্তায় কর্মসূচি পালন ছাড়াও বিরোধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমের কাঁটাছেড়া করছেন। নানামুখী ট্রলের মুখে ‘অপপ্রচার ঠেকাতে’ আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করে সরকারি কর্তৃপক্ষকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সাম্প্রতিক তৎপরতাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ হিসেবে দেখছেন সরকারের কর্মকর্তারা।

তবে শিক্ষাক্রম বাতিলের আন্দোলনে থাকা সংগঠকরা বলছেন, গত এক বছর এর বাস্তবায়ন দেখে ‘সন্তানের শিক্ষাজীবন রক্ষায়’ তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণি যুক্ত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের তালিকায়।

নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

চাপ কমাতে বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়নের আগে শিক্ষাবর্ষ জুড়ে চলে শিখনকালীন মূল্যায়ন। বেশ কিছু বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হয় শতভাগ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষা ও মুখস্ত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ প্রক্রিয়া হয়েছে আনন্দময়।

কি হচ্ছে শিক্ষাক্রম নিয়ে?

নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনাকারীরা দাবি করছেন, এর মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থাকে ‘ধ্বংস করে দেওয়ার’ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার চাপ কমিয়ে নতুন প্রজন্মকে পাঠবিমুখ করে ‘গুরুত্বহীন বিষয়ে’ ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।

শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে ‘সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন’ এর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনের মত কর্মসূচি পালন করছেন একদল অভিভাবক। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

সবচেয়ে বেশি বিতর্ক চলছে ফেইসবুক-ইউটিউবে। নতুন পাঠ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের ব্যাঙের লাফ, হাঁসের ডাকের মত ভিডিও ছড়িয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করা হচ্ছে।

এসব কর্মকাণ্ডকে ‘অপপ্রচার’ হিসেবে বর্ণনা করে তা ঠেকাতে গেল সপ্তাহে মামলা করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি।

পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জানায়, সরকারকে বিব্রত করতে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছিল।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) এনসিটিবি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠী শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করে ছড়ানো ভিডিওকে ‘মিথ্যা প্রচার’ হিসেবে বর্ণনা করে এনসিটিবি বলেছে, এরকম অপপ্রচার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলছেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের তিনজনই কোচিং সেন্টার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। তাতে ‘প্রমাণ হয়’ যে কোচিং সেন্টারের মালিকরা এই অপপ্রচারে যুক্ত।

শিক্ষাক্রম নিয়ে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রথমে বয়ঃসন্ধিকালের বিষয় পড়ানো, রান্না করা, ঘর পরিষ্কারের মত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, আমরা জবাব দিয়েছি।

তারাই কিছু লোক জোগাড় করে এই আন্দোলন করছে। শিক্ষাক্রমের ত্রুটি-বিচ্যুতি না পেয়ে তারা বলছে মোবাইলে আসক্তি হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশের বাচ্চারা তো মোবাইল নিয়ে কাজ করছে না। আমরা তো বলিনি যে, ইন্টারনেট থেকেই তথ্য নিতে হবে। বই, পত্রিকা, এমনকি কোন ব্যক্তি থেকেও তারা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

মশিউজ্জামানের ভাষ্য, মহানবীর ছবি আঁকা, বাচ্চাদের ইউনিফর্ম পরিয়ে হিন্দি গানের সঙ্গে নাচানো, শিক্ষকদের ব্যাঙের লাফ ও সাইকেল চালানো- এগুলো ‘মিথ্যা প্রচার’।

শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করার মত কিছু না পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে এগুলোর চেষ্টা করছে। এখানে যাদের রাজনৈতিক স্বার্থ, আর্থিক স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে- তারাই এটা করছে।”

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা কোচিং ও নোট-গাইড নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বাস্তবতাকে সামনে এনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার সঙ্গে ‘নোট-গাইড এবং কোচিং ব্যবসায়ীদের’ যোগসূত্র থাকার অভিযোগ করে আসছেন। এর সঙ্গে ডান-বাম রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

নতুন শিক্ষাক্রমের বিরুদ্ধে দেশে যে আন্দোলন হচ্ছে, এর নেতৃত্বে রয়েছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলন। অপপ্রপচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া চারজন এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহার দাবি, তাদের সঙ্গে কোনো গোষ্ঠীর যোগসূত্র নেই। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতেই তারা লড়ছেন।

এর সঙ্গে গাইড-বই ব্যবসায়ী বা কোচিং ব্যবসায়ীরা জড়িত নন। অভিভাবকদের এভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাটা ঠিক না। আমরা ২০১৯ সাল থেকে কথা বলে আসছি এই শিক্ষাক্রম নিয়ে।

অভিভাবকরা যখন তার বাচ্চাকে প্রতিদিন দেখছে, সে যা করছে- সেটার পরই তারা বুঝে ফেলেছে যে কি ঘটতে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতেই তারা রাস্তায় দাঁড়িয়েছে।

রাখাল রাহা মনে করেন, কিছু পূর্বশর্ত পূরণ না করে কোনো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের দিকে গেলে তা খারাপ হয়, বাংলাদেশে সেটাই হচ্ছে।

কোনো শিক্ষাক্রমই শতভাগ পরিবর্তন করার কথা বলা হয় না, কিন্তু এখানে সবকিছুই ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিচিং-লার্নিং, মূল্যায়ন, পাবলিক পরীক্ষা সবকিছুই একেবারে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো স্মার্ট দেশও এতটা সাহস করে না।

বিভাগ বিভাজন তুলে দেওয়ার উদাহরণ টেনে রাখাল রাহা বলেন, আমার সন্তান বিজ্ঞান পড়তে পারবে না। তার মানে একটা পুওর সায়েন্স, পুওর ম্যাথ নিয়ে পড়তে হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে নোট-গাইড ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক নেই দাবি করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, এত এত শিক্ষার্থী এর সঙ্গে জড়িত, সেখানে ৫০-৬০ জন প্রকাশক কি করবে? প্রকাশকদের তো অন্য ব্যবসা আছে, নোট-গাইড বের করা তাদের প্রধান ব্যবসা নয়।

যা বলছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা : নরসিংদীর হাড়িসাঙ্গান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মেধাতালিকায় প্রথম অবস্থানে থাকা ঝিমু আক্তার জানাল, নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণিকক্ষেই তার সব পড়া হয়ে যাচ্ছে।

আগের চেয়ে পড়ালেখা এখন একদম আলাদা। বাসায় প্রেশার নেই। বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ করে কাজ ভালো লাগছে। আলাদা শিক্ষক, গাইড বইয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না।

তার মা রহিমা বেগম রানীর পর্যবেক্ষণ- মেয়ে এখন আগ্রহ নিয়ে পড়ছে। হাসিখুশি থাকছে। তবে রহিমা বেগম মনে করেন, আগের মত পরীক্ষা থাকলে ঝিমু বাসায় আরও পড়ত।

ঢাকার মালিবাগের ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকিয়া করিম রাকার বাবা আব্দুল করিম জানালেন, আগে বছরে তিন থেকে চার মাস বাসায় শিক্ষক রেখে মেয়েকে পড়াতে হত।

এখন হাতে-কলমে শিখছে। এ বছর আর আলাদা করে পড়াতে হয়নি। বাসায় নানা ধরনের খাতায় আঁকছে, ভালোই মনে হচ্ছে।

রাজধানীর নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমনা বিশ্বাস বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে তাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা আনন্দে স্কুলে আসছে, পড়ছে।

তার মতে, শিক্ষাক্রমের ধরন এমনই হওয়া উচিত। এখানে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও তা ঠিক হয়ে যাবে।

প্রক্রিয়াটা একদম ঠিক আছে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। অল্প অল্প করে অগ্রগতিটা দেখতে পারব। শিশুরা চাপ বোধ করবে না। এটা সারা পৃথিবীতেই স্বীকৃত পদ্ধতি। আমরা দেখছি আমাদের শিশুরা ভালো আছে। তাদের টেনশন করতে হচ্ছে না, ফেল করে বিমর্ষ হয়ে কান্নাকাটি করা লাগছে না।”

যারা শিক্ষাক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন- তাদের প্রতি এই শিক্ষকের প্রশ্ন, শিশুরা যে আগে ফেল করে আত্মহত্যা করত, সেটা তারা সমর্থন করেন কিনা।

হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য, মাঠের আয়তন জানার জন্য শিশু যখন টেপ-ক্যালকুলেটর নিয়ে মাঠে যাবে, তখন যারা জীবনমুখী শিক্ষার কথা বলেন, তারাই আবার আজেবাজে কথা বলা শুরু করবেন।

সুমনা বিশ্বাস বলেন, অকারণে ট্রল করা হচ্ছে। এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়। একদল বুঝতেই পারছেন না। আরেক দল রাজনৈতিকভাবে বিষয়টাকে ইস্যু বানাতে চাইছে।

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা : নতুন শিক্ষাক্রম বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। এর সঙ্গে কোচিং বাণিজ্য জড়িত বলেও মনে করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

তার ভাষ্য, মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা এটা নিয়ে কথা বলছেন। গ্রামের মায়েরা তো কথা বলছেন না। আমি ভিডিওগুলো দেখেছি, এই অভিভাবকরা কোচিংয়ের সাথে জড়িত।

৩২ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য যেখানে, সেখানে লাভের কিছু অংশ ব্যয় করে যদি আন্দোলন করা যায়- সেটা তো ভালো।

সংশোধনের কথা না বলে শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি কেন করা হচ্ছে সে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, শিক্ষকরাও তৈরি না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করা উচিত। যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অভিযোগ আসবে, তাদের এমপিও বাতিল হয়ে যাবে- সেটা তো বলা হচ্ছে না।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষকরাও যে গাইড-বই লেখেন, সেটার প্রমাণও তো আছে। ডিভাইস নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সরকারকে দিতে বলা হচ্ছে না কেন? স্কুলেই তো ডিভাইস রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তারিক আহসান মনে করেন, যে বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, তার ৯৮ শতাংশই বানানো। এর সঙ্গে শিক্ষাক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। খণ্ডিতভাবে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

রান্না নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু রান্না হল একদিনের একটা সেশনের একটা অংশ। পুরো বইয়ে কত বিষয় পরে আছে, সেগুলো নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই। অথচ একদিনের একটা রান্না নিয়ে অনেক বিতর্ক।

জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য তারিক আহসান বলেন, ট্রেনিংগুলো নিয়ে যে ট্রল করা হচ্ছে, এগুলোর কোনটিই নতুন শিক্ষাক্রমের কোন বিষয় নয়। হাঁসের মত যে ট্রেনিংটার কথা বলা হচ্ছে, সেটা গণিত অলিম্পিয়াডের। ব্যাঙেরটা স্কাউটিংয়ের ট্রেনিংয়ের অংশ। আর সাইকেলেরটা আসামের এক শিক্ষকের।

এভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্ক তৈরি করতে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। মূল বিষয় হচ্ছে, শিক্ষাক্রমের কোথাও কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সেগুলো সমাধানের জন্য আমরা একটি লম্বা প্রসেসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেটা বাংলাদেশে আগে কখনও হয়নি।

আগের শিক্ষাক্রমের সঙ্গে এবারের পার্থক্য টেনে তিনি বলেন, ২০১২ বা ১৯৯৬ সালের শিক্ষাক্রম একসাথে একইদিনে সারা দেশে শুরু হয়েছিল। আর আমরা ১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে আগাচ্ছি। কারণ অনেক বড় পরিবর্তন। মানুষকে শিখতে হবে, বুঝতে হবে। প্রক্রিয়াটাও যাতে পরিবর্তন হয়।

এখানে একটা গ্রুপ আছে যারা বুঝতে পারছে, তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখানে মুখস্তবিদ্যার কোনো প্রয়োজন নেই। তারাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করাচ্ছে। তাই লজিক্যাল ফিডব্যাক না দিয়ে এভাবে ট্রল করা হচ্ছে। সূত্র : বিডিনিউজ

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!