• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে বাঁচল ভারত-নেপালের বিমান, বরখাস্ত দুই কর্মচারী


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২৭, ২০২৩, ০২:৩০ পিএম
মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে বাঁচল ভারত-নেপালের বিমান, বরখাস্ত দুই কর্মচারী

ঢাকা : এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের ভুলে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষের অবস্থানে চলে এসেছিল এয়ার ইন্ডিয়া ও নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমান। তবে পাইলটের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে এড়ানো সম্ভব হয় ভয়াবহ এই বিমান দুর্ঘটনা।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) কাঠমান্ডুর আকাশে এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা- সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ নেপাল (সিএএএন)। ঘটনার দু’দিন পর রোববার রিপোর্ট প্রকাশ করলো ওই কমিটি।

রোববার (২৬ মার্চ) ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দায়িত্বে অবহেলার কারণে এরইমধ্যে দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএন)।

সিএএএনের মুখপাত্র জগন্নাথ নিরোউলা জানিয়েছেন, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) দুই কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতি থাকার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছিল। তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।

সিএএএন জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আসছিল। আর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ভারতের নয়াদিল্লি থেকে কাঠমান্ডুতে আসছিল।

ওই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ১৯ হাজার ফুট থেকে নিচের দিকে নামছিল। অপরদিকে একই স্থানে একই সময়ে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় চলছিল নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি।

যখন রাডারে দেখা যায় দু’টি বিমান কাছাকাছি চলে এসেছে তখন নেপাল এয়ারলাইন্সের পাইলট তার বিমানটিকে আরও ৭ হাজার ফুট নিচে নামিয়ে ফেলেন। তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়।

এ ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে এটিসির পক্ষ থেকে গাফিলতি থাকার কথা জানানো হয়। কেন এত কম ব্যবধানে দু’টি বিমানকে যেতে দেয়া হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় তদন্তে নামে সিএএএন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!