• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
গাজায় মানবিক সংকট

নেই পানি, খাবার, বিদ্যুৎ ও ওষুধ, পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
নেই পানি, খাবার, বিদ্যুৎ ও ওষুধ, পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি

ঢাকা : জ্বালানি, পানি, খাবার ও বিদ্যুৎবিহীন ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড গাজাতে চরম মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিদ্যুৎবিহীন অঞ্চলটিতে হাহাকার দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির।

এমনকি গাজায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আল জাজিরা ও বিবিসি।

উত্তর গাজা থেকে পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনি নারী রাফাহ, বর্তমানে খান ইউনিসে রয়েছেন তিনি। রাফাহ বলেন, “এখানে বিশুদ্ধ পানি নেই। এমনকি আমাদের মুখ ধোয়ার মতো পানি নেই। আমরা সবাই নির্যাতিত। আমরা এটা আর সহ্য করতে পারছি না।"

তিনি জানান তারা যে অবস্থার মধ্যে বসবাস করছেন তা বর্ণনার অযোগ্য।

রাস্তায় রাস্তায় রক্ত এবং মৃতদেহ দেখেছেন তিনি। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তার ভাইবোনদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এই বলে যে তারা একটি "বিয়ের অনুষ্ঠান" থেকে এসেছে।

খান ইউনিসেও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে খাবার ও পানি। রাফাহ জানান, তার বাবা গতকাল একটি বেকারিতে কিছু রুটির জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করার পরে খাবার পেয়েছিলেন। সে জানে না যে আজকে খেতে পারবে কিনা।

পানিবাহিত রোগের শঙ্কা

এদিকে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (UNRWA) এক বিবৃতিতে বলেছে, "গাজার শেষ কার্যকরী পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবা পতনের মুখে। যার ফলে ডিহাইড্রেশন এবং পানিবাহিত রোগের বিষয়ে উদ্বেগ বেশি।“

সংস্থাটি জানায়, যে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশ মঙ্গলবার মাত্র তিন ঘন্টা পানির সরবরাহ ছিলো। এতে করে ওই অঞ্চলের জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কিছুটা উপকৃত হয়েছে।

দক্ষিণ গাজার ধ্বংসের মধ্যে, গৃহহীন এবং কয়েক হাজার ক্ষুধার্ত বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। উত্তর থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি বলেন, "আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যা দরকার তেমন কিছুই নেই। আমরা একটি ডাম্পে বাস করছি এবং যদি আমরা সরে যাই তবে আমরা মারা যাব।"

গাজাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ এবং ময়লার আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা পচা আবর্জনার বিশাল স্তূপ সরিয়ে নিচ্ছেন এবং খুব কম টয়লেট থাকায় রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!