ঢাকা: অভিবাসনের আবেদনে যৌনতায় পারদর্শিতাকে ‘বিশেষ যোগ্যতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে নিউজিল্যান্ড সরকার। ভিসার আবেদনপত্রে পেশাগত যোগ্যতা হিসেবে যৌনবৃত্তিকে উল্লেখ করার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের পেশাগত বিভাজন তালিকায় (এএনজেডএসসিও) যৌনকর্মী ও এসকর্টদের পেশা সামাজিক সঙ্গ প্রদান হিসেবে চিহ্নিত করা রয়েছে।
যৌনকর্মী হিসেবে চিহ্নিত হতে হলে অভিবাসনে ইচ্ছুকদের এএনজেডএসসিও তালিকার ৫ নম্বরে থাকা শর্তগুলি পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক মানের পরীক্ষায় পাশ করা।
তবে এএনজেডএসসিও তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকতে হলে অর্থাত্ যোগ্যতা সম্পন্ন যৌনকর্মী হিসেবে নিজেকে তালিকাভুক্ত করতে গেলে প্রতি ঘণ্টায় ৩৬.৪৪ নিউজিল্যান্ড ডলার অর্থাত্ ঘণ্টাপিছু ২৫.৮৭ মার্কিন ডলার আয়ের নথি জমা দিতে হবে। এই আয় টানা ৪০ সপ্তাহে প্রতিফলিত হওয়া জরুরি। পাশাপাশি এই পেশায় আবেদনকারীর অন্তত ৩ বছরের পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকা চাই।
যৌনবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও নিউজিল্যান্ডে অভিবাসন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নিউজিল্যান্ডের আইনজীবী পিটার মোসেস জানিয়েছেন, যৌনবৃত্তিকে আইন স্বীকৃতি দিলেও অভিবাসনকারীর সাময়িক ভিসার আবেদনপত্রে তাকে পেশা হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে না। যৌনবৃত্তিকে আসলে বিশেষ যোগ্যতার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। সূত্র: ডেইলি মেইল
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :