• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষাসৈনিকদের আক্ষেপ


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯, ১০:৫৫ পিএম
ভাষাসৈনিকদের আক্ষেপ

ঢাকা : ভাষা আন্দোলনের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক দিক হলো এর অন্তর্নিহিত রাজনৈতিক চরিত্র। পাকিস্তানি রাজনীতির অস্বাভাবিক আচরণ এর কারণ।

রাষ্ট্রভাষা উর্দু না বাংলা, এই প্রশ্নের সঙ্গে বাঙালি মুসলমানের অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক স্বার্থ জড়িত থাকবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্যাপারটা পুরোপুরি রাজনৈতিক হয়ে ওঠার দরকার ছিল বলে সে সময়ের ভাষা সৈনিকরা মনে করেছিলেন।

কিন্তু তাদের আক্ষেপ, তখনকার বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভাষা আন্দোলনকে পুরোপুরি রাজনৈতিক করতে না পারা নিয়ে। ভাষা আন্দোলনে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এর পরের স্লোগানটাই ছিল ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’। এ স্লোগান ছিল সাধারণ ছাত্র-জনতার। যারা ভাষা আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না।

যাদের জন্য ছাত্র-জনতা ‘রাজবন্দিদের মুক্তি চাই’ স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই শেষ পর্যন্ত আন্দোলন থেকে নিজেদের এক প্রকার গুটিয়ে নিয়েছিলেন। আন্দোলনটা সাংগঠনিকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের এই রাজনৈতিক সম্ভাবনা অন্যরা না বুঝুক, তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ঠিকই বুঝেছিল। চতুর অবাঙালি প্রধান আমলা-প্রশাসনেরও বুঝতে কষ্ট হয়নি। ভাষা আন্দোলনকে তাই তারা রাজনৈতিক তাৎপর্যেই মোকাবেলার চেষ্টা করেছে।

আন্দোলন নস্যাৎ করতে একই সঙ্গে কঠোর দমন নীতি এবং কূটকৌশলী প্রচারণা চালিয়েছে। ধর্মকেও তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তখনকার সরকারি বক্তৃতা, প্রেসনোট সব কিছুতেই বার বার মিথ্যা প্রচারিত হয়েছে যে— ‘ভাষা আন্দোলন পাকিস্তান ভাঙার আন্দোলন। এর পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহী কমিউনিস্ট, উচ্চাভিলাষী ও অসন্তুষ্ট স্থানীয় রাজনীতিক এবং ভারতীয় এজেন্ট।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!