• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব নারিকেল দিবস


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০১:৫৩ পিএম
বিশ্ব নারিকেল দিবস

ঢাকা: নারকেলের গুণগত মান, ব্যাবহার, উপকারিতাকে গুরুত্ব দেবার জন্য প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস পালন করা হয়।

এদিন এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় নারকেল সম্প্রদায় (এপিসিসি) দ্বারা বিশ্ব নারকেল দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব নারকেল দিবস এর লক্ষ্য এপিসিসির সদস্য দেশগুলিতে বিনিয়োগ উৎসাহ দেওয়া এবং নারকেল শিল্পের উন্নয়নের প্রচার করা। দরিদ্রতা হ্রাসে নারকেলের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা জনগণকে বোঝাতে বিশ্ব নারকেল দিবসটি পালিত হয়।

বিশ্ব নারকেল দিবসটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এপিসিসির গঠনের দিনটি উদযাপিত হয় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়দের জন্য। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএন-ইস্ক্যাপ) এর নেতৃত্বে কাজ করে। 

নারিকেল-ডাব থেকে পাকা পর্যন্ত কতভাবে যে আমরা খাই আর ব্যবহার করি বলে শেষ করা যাবে না। নারিকেল তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, মাথা ঠাণ্ডা রাখে, কোড়ানো নারিকেলের চিংড়ির মালাইকারি কার না পছন্দ? আর মিষ্টি নাড়ু, পিঠা পায়েস কোনটা পুরোপুরি স্বাদের হয় নারিকেল ছাড়া? ডাবের পানির উপকার তো গুনেই শেষ করা যায় না।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’গ্লাস ডাবের পানি পান করতে হবে। পটাশিয়াম ছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও জিংক।  

নিয়মিত ডাবের পানি পানে...
ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে ভারসাম্য বজায় রাখে।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কম থাকে। ফলে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বকের তৈলাক্তভাব, ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ দূর হয়।
শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
অ্যান্টিএজিং উপাদান থাকায় শরীরের কোষকে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। তাই সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না, তারুণ্য ধরে রাখে। 
ক্লান্তি দূর করে, কর্মশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। 
ডাবের পানিকে খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। 
থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। 
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ইউরিন ইনফেকশন দূর করে।  

সারা বিশ্বে প্রায় অনেকগুলো দেশেই নারকেলের চাষ হয়। তার মধ্যে, মইক্রোনেসিয়া, ফিজি,ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড,ভারত,ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স অন্যতম।

নারকেল চাষের উপর ভারতের প্রায় ১ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। ভারতের কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে সর্বাধিক নারকেলের চাষ দেখা যায়। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ নারকেল এখানেই চাষ হয়। সমুদ্রের পার্শবর্তী স্থানে,লবনাক্ত মাটিতেই নারকেলের চাষ ভালোভাবে হয়।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!