ঢাকা : কোথায় ঘুরবেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘোরার প্রস্তুতি। ঘুরতে বের হওয়ার আগে ভালো প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করবে আপনার বেড়ানোটা কতটা আনন্দময় হবে। তবে বেড়ানোর সময় কী খাবেন আর কী বাদ দেবেন জেনে নিন।
যে খাবার খাবেন
খেজুর : খেজুর খেলে দ্রুতই এনার্জি পাওয়া যায়। খেজুরে আছে সহজে দ্রবণীয় খাদ্য আঁশ, যা হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। কেননা পাকস্থলীতে প্রচুর পানি শুষে নেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও খেজুর খেতে পারেন। পাকস্থলীর অস্বস্তিভাব দূর এবং ডায়রিয়া নিরাময়েও খেজুরে থাকা পটাশিয়াম সহায়তা করে।
আমলকী : সকালে খালি পেটে আমলকীর জুস পান করে বের হওয়া ভালো। তবে এই জুস পান করার পর ৪৫ মিনিট পরে চা বা কফি পান করতে হবে। আর নিয়মিত আমলকী জুস পান করলে আয়ুও বাড়ে। এ ছাড়া পাকস্থলীকে বিষমুক্ত করতে এবং হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতেও সহায়ক আমলকী।
কাজুবাদাম : দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকার পর সকালে ৫-১০টি কাজুবাদাম খেলে সারাদিন ধরে পুষ্টি ও শক্তির জোগান দেবে।
মিষ্টি : ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্তি বোধ করলে মিষ্টি খেতে পারেন। মিষ্টি অল্প সময়ের মধ্যে শরীরে এনার্জি দেয়। তবে হ্যাঁ, একদম খালি পেটে মিষ্টি না খাওয়াই ভালো। শক্ত খোসাযুক্ত ফল আম, পেঁপে, কমলা ইত্যাদি খেতে পারেন।
খালি পেটে যা খাবেন না
কলা : খালি পেটে কলা খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে রক্তে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রায় অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে, যার ফলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চা কিংবা কফি : খালি পেটে খেলে এই অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি করে। ফলে আর কিছু না হোক, খালি পেটে চা অথবা কফি খাওয়ার আগে অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন।
টমেটো : খালি পেটে খেলে টমেটোয় থাকা অ্যাসিডের সঙ্গেগ্যাসট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যাসিড মিশে গিয়ে এক ধরনের জেল তৈরি হয়, যা থেকে পাকস্থলীতে পাথর পর্যন্ত জমতে পারে।
দই : দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান স্বাস্থ্যকর। তবে যদি এটা খালি পেটে খাওয়া হয় তবে উল্টো ক্ষতিকর। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর আবরণের রসের সঙ্গে মিশে পেটকে খারাপ করতে পারে।
এমটিআই