ঢাকা: গরমে অনেক সময়ই দেখা যায় নারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে, যেগুলো শরীরের ভেতরের গঠন ও কাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। নারীদের হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতাও বেশি। চলুন, জেনে নিই এর কারণ।
*নারীদের ঘাম কম হয়
নারীরা সাধারণভাবে পুরুষদের তুলনায় কম ঘামে। ঘাম শরীর ঠাণ্ডা রাখার প্রাকৃতিক উপায়। কম ঘাম হওয়ার কারণে গরমে শরীর সহজে ঠাণ্ডা হতে পারে না। ফলে তাপ জমে গিয়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
*শরীর গঠনের পার্থক্য
নারীদের শরীর সাধারণত তুলনামূলক ছোট হয় ও তাদের শরীরের পৃষ্ঠতলের তুলনায় ওজন কম থাকে। এই কারণে তারা দ্রুত গরম অনুভব করেন এবং শরীর থেকে তাপ বের করতেও সময় লাগে।
*হরমোনের প্রভাব
নারীদের মাসিক চক্রের সময় বিশেষ করে ওভুলেশনের পরে নারীদের শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। এতে গরমে আরও অস্বস্তি অনুভূত হয়।
*কম ফিটনেস
গড় হিসাবে নারীদের কার্ডিওভাসকুলার (হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত) ফিটনেস পুরুষদের তুলনায় কম হতে পারে। এই ফিটনেস কম থাকলে শরীর গরমে দ্রুত ক্লান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
*বয়স বাড়লে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বেশি
বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে বয়স্ক নারীরা গরমে বেশি দুর্বল হয়ে পড়েন। গবেষণায় দেখা গেছে, হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর হার ৮০ বছরের বেশি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
তাপমাত্রা বাড়লে নারীরা কিছু নির্দিষ্ট কারণের জন্য বেশি বিপদে পড়েন। শরীরের গঠন, হরমোন, ঘাম কম হওয়া ও ফিটনেস—সব মিলিয়ে তাদের তাপ সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে। তাই গরমে নারীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি।
ইউআর