ঢাকা: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এডিবি প্রকাশিত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা তাকে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছে তার সরকার। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়ে কেউ যেন এই ধারা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। কাঙিক্ষত সময়ের আগেই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ নির্বাচিত করায় দেশের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে তার সরকার। উন্নয়নের ধারা কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। সকালে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি এসব বলেন।
এর আগে গত বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক- এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে তাদের প্রতিবেদনে জানায়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিবেচনায় ৪৫টি দেশের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ১৯৭৪ সালের পর বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুততম প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০১৮ সালে, ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫টি অর্থনীতির মধ্যে দ্রুততম।
এডিবির আউটলুকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলে তা নতুন রেকর্ড হবে উল্লেখ করে আউটলুকে বলা হয়েছে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের দ্রুত বিকাশের ধারা অব্যাহত থাকবে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫ দেশের অর্থনীতির গতিধারা মূল্যায়ন করে এডিবি তাদের এ আউটলুক প্রস্তুত করেছে।
বাংলাদেশ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছে গেলেও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের পেছনে পড়ে যাচ্ছে বলে এডিবির মূল্যায়নে দেখানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার শ্লথ গতির কারণে ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে হবে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে।
এডিবি মনে করছে, বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধির পেছনে কাজ করেছে, দক্ষ নেতৃত্ব, সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার ও শান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বলিষ্ঠ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালা ও সঠিকভাবে উন্নয়ন অগ্রাধিকার দেওয়া।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :