• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বন্দরে বিপদজনক পণ্য পরিবহনে অধিক সচেতন হতে হবে


নিজস্ব প্রতিনিধি নভেম্বর ৪, ২০২০, ০৬:০১ পিএম
বন্দরে বিপদজনক পণ্য পরিবহনে অধিক সচেতন হতে হবে

ছবি: প্রতিনিধি

ঢাকা : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি দেশের সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহের দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে একটি ছাতার নিচে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বুধবার (৪ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরসমূহের দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি নিরাপদ পরিবহন, হ্যান্ডলিং ও রক্ষণাবেক্ষণে সতকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক এ আহবান জানান তিনি।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ আবুল কালাম আজাদ, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালালউদ্দিন, পায়রা বন্দর, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডএর প্রতিনিধি এবং চট্টগ্রাম, মোংলা, বেনাপোল ও ঢাকা আইসিডির কাস্টমস কমিশনারগণ সরাসরি ও অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি ছাতার নিচে এসে সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে অধিক সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে  দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি একটি ছাতার নিচে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছন।’ 

বৈঠকে জানানো হয় যে, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক নিলামের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ১৬৩ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক দ্রব্যাদি রয়েছে। এছাড়া ৫৩৫ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডে সংরক্ষিত আছে। মোংলা বন্দরে  এবছরের ২০ সেপ্টেম্বর ৭.২ কেজি বিপদজনক পণ্য খালাস করা হয়েছে। বন্দরে কোন বিপদজনক পণ্য সংরক্ষিত নেই। বেনাপোল স্থল বন্দরে ৪২৬৯.৩৯ মেট্রিকটন এবং বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে ৭.৬ মেট্রিক টন দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য রয়েছে।

বৈঠকে আরো জানানো হয় যে, বিপদজনক মালামাল হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিদ্যমান দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণ শেড অর্থাৎ ‘পি-শেডটি’ সংস্কার, সেখানে ২৪ ঘন্টা ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা, উক্ত শেডে প্রবেশ/বাহির সংরক্ষণ, বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যুগোপযোগি একটি নতুন শেড নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠকে বন্দরগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য হ্যান্ডলিং ও সংরক্ষণে “মহড়ার” ব্যবস্থা  গ্রহণ এবং দাহ্য, বিস্ফোরক ও বিপদজনক পণ্য সংরক্ষণের  জন্য পৃথক শেড নির্মাণে মোংলা ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!