• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পে-স্কেলসহ ৯ দফা দাবী আদায়ে কমিটি গঠন


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১, ০৮:৪১ পিএম
পে-স্কেলসহ ৯ দফা দাবী আদায়ে কমিটি গঠন

ফাইল ফটো

ঢাকা: নয় দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারি সম্মিলিত পরিষদের ৮৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহবায়ক মনোনিত হয়েছেন মো. ফরিদুল ইসলাম (গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা) এবং সদস্য সচিব হয়েছেন মো. মনির হোসেন (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা)।
 
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গঠিত এই কমিটি স্বাধীনতার স্বপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের সকল দপ্তরের ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ন্যায্য দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করবে।

পরিষদের ৯ দফা দাবিগুলো নিন্মে তুলে ধরা হলো- 

দ্রুত স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্যহীন পে-স্কেল প্রদান করতে হবে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত ১৯৭৩ সালের ১০টি গ্রেড পুনর্বহাল এবং বেতন স্কেলে ধাপের পার্থক্য ১:৪ নির্ধারণ করতে হবে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় ১১-২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারি নিয়োগের জন্য আলাদা একটি “নন ক্যাডার নিয়োগ কমিশন” পঠন পূর্বক এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালার আলোকে সকল মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর বা সংস্থায় শূন্য পদসমূহে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কার্যভিত্তিক, মাষ্টাররুল, ভাউচার/দৈনিক ভিত্তিক বা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বসাকুল্য বেতনভুক্ত কর্মচারিদের রাজস্বখাত যা অস্থায়ী নিয়মিত করতে হবে।

মন্ত্রণালয় বা সচিবালয়ে কর্মরত কর্মচারিদের ন্যায় দপ্তর/অধিদপ্তর পরিদপ্তর বা সংস্থায় ১১-২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারিদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষাগত  যোগ্যতানুসারে সকল পদে (ব্লক পদসহ) ৮, এ, ৫ এবং ৩ বছর পর পর পদোন্নতি বা উন্নিত গ্রেড প্রদান করতে হবে এবং ৩ বছর পর পর কমন পদে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বদলীর নিয়ম চালু করতে হবে।

আউটসোর্সিং নিয়োগ পদ্ধতি বিলুপ্ত করতে হবে এবং যাদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের রাজস্বখাত বা অস্থায়ী নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আনতে হবে।

চাকুরীক্ষেত্রে জেষ্ঠ্যতা বজায় রাখার স্বার্থে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, ইবিক্রস ও বেতন সমতাকরণ; পেনশন উত্তোলনের ঐচ্ছিক সুবিধা পূর্বের ন্যায় পূর্ণবহাল এবং পেনশনের হার সর্বশেষ আহরিত বেতনের ৯০% এর স্থলে ১০০%-এ উন্নীত করাসহ আনুতোষিক ১ টাকায় ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

১১ হতে ২০ গ্রেডে অন্তর্ভূক্ত কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ঢাকার জন্য বেসিকের ৭০% (শতকরা) ভাগ এবং ঢাকার বাইরের জন্য বেসিকের ৬০ (শতকরা) ভগ নিদিষ্ট করে দিতে হবে।

১১ হতে ২০ গ্রেড অন্তভুক্ত কর্মচারীদের স্বল্পমূল রেশন; গৃহনির্মাণ ঋণ ২০% সার্ভিস চার্জে ২৫-৫০ লক্ষ টাকা এবং ঋণ গ্রহণ পদ্ধতি সহর্তীকরণ করতে হবে।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ (ত্রিশ) এর স্থলে ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছর এবং অবসর গ্রহণের বয়স সীমা ৫২ (উনষাট) এর স্থলে ৬টি (ষাট) বছর করতে হবে।

৮৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১৩ জনকে যুগ্ম আহবায়ক এবং ৭৪ জনকে সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে। 

যুগ্ম আহবায়করা হলেন- মো. বেলাল হোসাইন (কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ঢাকা), তারেক মাহমুদ জর্জ (জাতীয় সংসদ ভবন, ঢাকা), মো. মনিরুল ইসলঅম (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা), মো. জাহাঙ্গীর আলম (বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা), মো. বাবুজ্জামান নীরব (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নারায়নগঞ্জ), মো. সাইফুল ইসলাম (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা), আব্দল রাজ্জাক (পানি উন্নয় বোর্ড, ঢাকা), মীর মোহম্মদ ইমরান (সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা), নাসির উদ্দীন দুলাল (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, গাজীপুর), মো. রহমত উল্লাহ (খাদ্য অধিদপ্তর, ঢাকা), মো. আনোয়ার হোসেন (কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা) এবং মি. সঞ্জিব কুমার (বাংলা একাডেমী, ঢাকা)।

সম্মানিত সদস্যরা হলেন- মো. মনির হোসেন (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা), খান আতাউর রহমান (কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট, বরিশাল), আবুল কাশেম (বাংলাদেশ সচিবালয়, গণপূর্ত বিভাগ, ঢাকা), আদনান আহমেদ বাঁধন (জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট, ঢাকা), মো. মুরাদ হোসেন (নগর অঞ্চল ভবন, ঢাকা), আব্দুর রহমান (বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশন, ঢাকা), সাইদুল ইসলাম রানা (পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা), মো. আমির হোসেন (জরিপ অধিদপ্তর, ঢাকা), মেহেদী হাসান তারেক (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা), ওসমান গনি (বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা), মো. আতিকুর রহমান (জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা), মো. রুহুল আমিন (কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স, ঢাকা), এম এ রহিম মিশরী (মৎস অধিদপ্তর, ঢাকা), মো. রাশেদুজ্জামান (গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা), মো. আকবর হোসেন (প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা), মো. সোহেল রানা ( প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা), মোহাম্মদ সাহেদুল আলম (প্রেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন, ঢাকা), মো. মিন্টু মিয়া (গণপূর্ত বিভাগ, ঢাকা), হাবিবুর রহমান সবুজ (বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা), মি. বিষ্ণু হরিজান (পাট গবেষনা ইনস্টিটিউট), রাহিমা হক রিতা (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা), সুমাইয়া আক্তার (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নরসিংদী), আব্দুর রব লাবু (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নারায়নগঞ্জ), মো. জলিল মিয় (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, মুন্সিগঞ্জ), মো. হারুন আর রশিদ (জাতীয় মহিলা সংস্থা, মুন্সিগঞ্জ), আল- মামুন আকন্দ (বন অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ), সোহাগ হোসেন (নৌ পরিবহন কর্পোরেশন, নারায়নগঞ্জ), আসাদুজ্জামান খান (প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, গাজীপুর), শেখ নাহিদুল ইসলাম (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ফরিদপুর), মো. ইমরান হোসেন (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালঞ্জ), মো. মনিরুজ্জামান (প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, মাদারীপুর), বেনজীর আহমেদ সোহাগ (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, রাজবাড়ী), তোফাজ্জেল হোসেন (উপজেলা কৃষি অফিস, রাজবাড়ী), মাহবুব উল আরেফি (সমাজসেবা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম), মি. মিটন কুমার দাশ (প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রম), মুহাম্মদ মূনির উদ্দিন (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, কক্সবাজার), 

এছাড়া, মো. ওমর ফারুক (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি), মো. মনির ফারুক (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ফেনী), মো. শাহাদাতুল ইসলাম (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, কুমিল্লা), মো. আল-আবেদুল জাবেদ (প্রাথমি ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ব্রাহ্মনবাড়িয়া), মো. তৌকির আহম্মদ (জেনারেল হাসপাতাল, নোয়াখালী), বশির আল বেলাল (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, লক্ষীপুর), মো. সুমন আহমেদ (এল জি ই ডি, চাঁদপুর), মো. নুরুল করিম (খাদ্য অধিদপ্তর, লক্ষীপুর), মীর সামসু (বাংলাদেশ রেলওয়ে, ব্রাহ্মনবাড়িয়া), দীন এ মোহাম্মদ (গণপূর্ত অধিদপ্তর), মেজবাউল হক (বি এম ডি এ, রাজশাহী), মো. মাসুদ রানা (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পাবনা), মো. নাহিদ হাসান শামিম (হাসপাতাল সমাজসেবা অফিস, জয়পুরহাট), জোবাইদুর রহমান সরকার (মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বগুড়া), সামচুল আলম রুবেল (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জ), মো. হারুনুর রশিদ সরকার (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ), মাহমুদ আল-নূর জামিল (সমবায় অফিস, ময়মনসিংহ), মো. রেজাউল করিম (উপজেলা কৃষি অফিস, ময়মনসিংহ), মো. লিটন আকন্দ (খাদ্য অধিদপ্তর, নেত্রকোনা), মো. আলমগীর হোসেন (তথ্য মন্ত্রণালয়, শেরপুর), সরদার ফরিদ আহমেদ (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর), মোস্তফা জামাল উদ্দিন (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা), শাহী ফয়সাল (জেলা প্রাশাসক কার্যালয়, খুলনা), মি. বিপ্লব শীল ভূলন (বিএডিসি, কুষ্টিয়া), মো. ঝংকার আলী (প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ঝিনাইদহ), মো. শাহীন সুলতান (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা), পারভীন আক্তার (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাগেরহাট), মো. সাইফুল আলম (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ), মো. আতাউর রহমান (কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট), আব্দুল হান্নান খান (জজ কোর্ট, হবিগঞ্জ), মো. নুরুল হক (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, হবিগঞ্জ), মি. রাজন চক্রবর্তী (প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার), মো. লিয়ন মিয়া (সমাজসেবা অধিদপ্তর, লালমনিরহাট), মো. আরিফুজ্জামান (ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল, রংপুর), মো. ফেরদৌস আলী (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, লালমনিরহাট), গোলাম সরওয়ার (প্রথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ভোলা), মো. ইউনুচ মজুমদার (সমাজবেসা অধিদপ্তর, বরিশাল), মো. সাইফুর রহমান (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ঝালকাঠী) এবং লিপি আক্তার (পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, পটুয়াখালী)।

কমিটি গঠনের লক্ষ্য হবে স্বাধীনতার পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে বাংলাদেশের সকল স্তরের ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারিদের ন্যায্য দাবীসমূহ ও কর্মচারিদের স্বার্থ সংশিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা। এই কনিটির মেয়াদ ৩ মাস। উক্ত সময়ের মধ্যে পূর্নাঙ্গ নির্বাহী পরিষদ গঠন না হলে পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতে সময় বৃদ্ধি করতে পারবে আহবায়ক।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!