• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস সময় কমিয়ে আনার চিন্তা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৭, ২০২২, ০২:২৪ পিএম
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস সময় কমিয়ে আনার চিন্তা

ঢাকা: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অফিসের সময় কমিয়ে আনার চিন্তা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘কোভিডের সময় জীবন অন্যভাবে ছিল। অফিসের সময় সংশোধন করা গেলে যেমন ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না, এটা সরকারের উচ্চ পর্যায় চিন্তা করতে পারে। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

‘আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা আছে। দাম না বাড়লে আমরা সবাইকে দিতে পারতাম। প্রধানমন্ত্রী দামের বিষয়ে সহনশীল হয়েছেন। সাবসিডি দেয়া হচ্ছে। কোথায় যাবে কেউ বলতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের আগেই জানানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি; ফিল্ড লেভেলে কিছু কমিটি আছে। তারা এটাকে বাস্তবায়ন করে। এটা আমরা রিভাইব করছি।

‘কত উৎপাদন হবে, কত বিতরণ হবে, এটা জেনে পরে জানানো হবে। ডিপিডিসি অ্যাপ করে…সেখানে জানা যাবে।

‘মাঠ পর্যায়ের যারা, তারা বাস্তবায়ন করবে। কমিটিকে শক্তিশালী করব। এটা যেন সমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে দৃষ্টি থাকবে।’

ড. তৌফিক-ই-এলাহী আরও বলেন, জাপান-অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তারাও সাশ্রয়ে মনোযোগী হচ্ছে। তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। তবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, জাপানের আয় আমাদের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। সেখানেও লোডশেডিং হচ্ছে, তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে, বিদ্যুৎ জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। 

‘আজ আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলেও অনেক উন্নতি হয়েছে। যদি দাম না বাড়ত, অস্থিরতা তৈরি না হতো, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না।’

তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবসময় দামের ব্যাপারে সহনশীল। তিনি বলেন, জালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে যে ঘাটতি, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, সেটির একটু গভীরে গিয়েছি। কীভাবে আমরা সাশ্রয়ী হব সেটি নিয়ে ভাবছি।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তারা যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তাতে তাদের দেশের লোকও কষ্ট পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবনির্মিত আট তলা ভবন উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক উৎকর্ষ পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কোথায় আমাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী পাব সেই প্রাপ্তির ক্ষেত্রটাও সংকুচিত হয়ে গেছে। এই প্রভাবটা শুধু বাংলাদেশ না, এটা আমি মনে করি, আমেরিকা, ইউরোপ, ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে সারা বিশ্বব্যাপী এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মানুষ কিন্তু কষ্ট ভোগ করছে। এটা উন্নত দেশগুলোর বিশেষভাবে বিবেচনা করা উচিত।

তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমাদের দুর্ভাগ্য, যখন সারা বিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে ঠিক সেই সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী মানুষের অবস্থাটা আরও করুণ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার ওপর আমেরিকা স্যাংশন দেওয়ার ফলে আমাদের পণ্য প্রাপ্তিতে, যেগুলো আমরা আমদানি করি-সেখানে বিরাট বাধা আসছে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!