• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

ভিসা নীতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলো মার্কিন দূতাবাস


নিউজ ডেস্ক মে ২৫, ২০২৩, ০২:০৮ পিএম
ভিসা নীতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিলো মার্কিন দূতাবাস

ঢাকা : বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে তার বিরুদ্ধেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (২৪ মে) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ হুঁশিয়ারি দেন। নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে যেগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন : মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাপা নেতারা

নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কাদের জন্য প্রযোজ্য এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কেন বলেন, এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এদের মধ্যে বর্তমান বা সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত। একইসাথে এসব ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

আরও পড়ুন : বিরোধীরাও যদি সহিংসতা করে মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

এই মুহূর্তে কী এই নীতির আওতায় কারও ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে- এমন প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, নেই। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা এই নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের ওপরেও নয়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নিষেধাজ্ঞা হলো নির্বাচনবিরোধী আচরণে জড়িত ব্যক্তিদের উদ্দেশে। যা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আরও পড়ুন : মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে যে বিবৃতি দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

কারও ভিসায় নিষেধাজ্ঞা বা বাতিল হয়েছে সেটা জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কেন বলেন, অবশ্যই জানানো হবে। কারণ যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয় তাদের সেটা জানানোর নিয়ম রয়েছে।

উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ এসব অপরাধে যুক্ত থাকলে তাদের ক্ষেত্রে ভিসা বিধিনিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্লিঙ্কেন সাফ জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণে এই সিদ্ধান্ত কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের আন্তরিকতা রয়েছে। যে কারণে আমরা গত ৩ মে এই বিষয়ে আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি।

আরও পড়ুন : নির্বাচনে ‘অনিয়ম’করার দায়ে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে যেসব দেশ

সবশেষে প্রশ্ন ওঠে- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত? এর উত্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছেন। এই নীতি সে প্রচেষ্টাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রণীত হয়েছে। যাতে বাংলাদেশিরা তাদের নেতা বেছে নেয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!