• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘মা জিতে গেছেন’


নিজস্ব প্রতিবেদক  মে ২৬, ২০২৩, ০১:৪১ এএম
‘মা জিতে গেছেন’

ঢাকা: অবশেষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ৪৮০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোট বেশী পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২,৩৮,৯৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২,২২,৭৩৭ ভোট। ১৬, ১৯৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে নির্বাচনের ‘ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র’ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

ঘোষণার পরপরই জায়েদা খাতুনের সমার্থকদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। বাদ যায়নি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও। সেখানেও তার ভক্ত অনুসারীরা বিভিন্নভাবে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকে আবার আবেগপ্রবণ কথাও লিখেছেন। নিচে কয়েক জনের প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো-

নিয়াজ মাহমুদ সোহেল নামে একজন লিখেছেন, “এটাই তো 'মা'! দল ব‌হিষ্কার কর‌লো, স্ত্রী তালাক দিলো, অথচ বৃদ্ধা মা জীবনবাজি রেখে সন্তানকে আগ‌লে রাখ‌লেন। অভিনন্দন জাহাঙ্গীর ভাই ও খালাম্মাকে।”

মো. ওয়ালিউল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, “দল বহিষ্কার আর বউ তালাক দিলেও এই বৃদ্ধ বয়সেও মা সাথে ছিল!! অভিনন্দন জাহাঙ্গীর আলম ও উনার মাকে।”

হুমায়ুন বাচ্চু লিখেছেন, “মা বড় সম্পদ তা আজ প্রমাণ হলো।”

মনির নামে একজন লিখেন, “কোটি ছেলের পক্ষ থেকে একজন মাকে অভিনন্দন।”

প্রান্তিক জসীম নামে একজন লিখেছেন, “জায়েদা খাতুন-জিতবেন কি না জানি না।  তবে, ‘মা জিতে গেছে’ -জাহাঙ্গীরের  এই  চিৎকারটা  ছাপ্পান্ন  হাজার বর্গমাইলজুড়ে পৌছে গেছে। অন্তত এই বয়সে যে সন্তানেরা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়, অন্তত সেইসব সন্তানেরা     বৃদ্ধ মায়ের জন্য   জাহাঙ্গীরের  এই লড়াই দেখে কিছুটা হলেও লজ্জা পাবেন হয়তো!”

ফেসবুকের টাইমলাইনে প্রবেশ করলে এরকম অসংখ্য মন্তব্য চোখে পড়ে। সবাই বলছেন মা জিতে গেছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।

সকালে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। আমি আশাবাদী।’

এদিকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। তিনি বলেছেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।’

এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩ হাজার ৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬ হাজার ৯৯৪ জন।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!