• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০৫:১৪ পিএম
এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত

ঢাকা: ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের থানায় নিয়ে মারধরের ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। 

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন।

হারুন অর রশিদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক ১১/৯/২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

এর আগে রোববার দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, তাঁকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।

এদিকে মারধারের ঘটনার পর সোমবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের দেখা করে ঘটনার বিচার দাবি করেন।

সাদ্দাম-ইনানেন সাক্ষাতের পর ডিএমপি জানায়, এডিসি হারুন অর রশিদের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশসনস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি টিম ডিএমপি কমিশনার স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সরাসরি একজন ভুক্তভোগীও এসেছিলেন। তারা তাদের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাদের বেশকিছু দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে ডিএমপি কমিশনার স্যার বলেছেন, একেবারেই নিরপেক্ষ এবং কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব না করে পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে পুলিশের সর্বোচ্চ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পর্যায়ের যে জড়িত থাকুক যার যতটুকু দায় দায়িত্ব রয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কমিশনার স্যার আশ্বস্ত করেছেন।

ছাত্রলীগ মামলার বিষয়ে কথা বলেছে কি না জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে কথা হয়নি। যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, দুই ধরনের দণ্ড রয়েছে। একটি লঘুদণ্ড অন্যটি গুরুদণ্ড। লঘুদণ্ডের মধ্যে চারটি বিষয় রয়েছে, গুরুদণ্ডের মধ্যেও চারটি বিষয় রয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে কাকে কতটুকু দায়ী করবে তার ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ চাকরিচ্যুত হতে পারে কেউ বা তিরস্কারও হতে পারে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!