• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
কানাডা ইস্যুতে ড. মোমেন

ভারত অপরিপক্ক কিছু করে না


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
ভারত অপরিপক্ক কিছু করে না

ঢাকা: খালিস্তানপন্থি নেতা হারদিপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কে এখন চরমভাবে টানাপোড়েন চলছে। আর এই টানাপোড়েনের মধ্যেই দিল্লির পাশে থাকার ইঙ্গিত দিলো ঢাকা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার মধ্যেই খালিস্তানপন্থি নেতা হারদিপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারত-কানাডা সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন শুরু হয়। আর এই ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে যে কথা বলেছেন, এতে দিল্লির পাশেই থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। 

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ড. মোমেন বলেছেন, ভারতের জন্য বাংলাদেশ খুবই গর্বিত, কারণ তারা অপরিপক্ক কিছু করে না। সেই সঙ্গে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানও আশা করেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার সরকারের অভিযোগকে ‘দুঃখজনক পর্ব’ উল্লেখ করে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন, বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এটা খুবই দুঃখজনক। আমি ঘটনার বিস্তারিত জানি না, সেজন্য আমি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু আমরা ভারতকে নিয়ে খুবই গর্বিত; কারণ তারা অপরিপক্ক কিছু করে না। ভারতের সঙ্গে আমাদের খুবই দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। সেটা মূল্যবোধ ও নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত।  

ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জাস্টিন ট্রুডোর:
কানাডায় খালিস্তানপন্থি নেতা হরদিপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সম্প্রতি ভারতকে কাঠগড়ায় তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, কানাডার নাগরিক নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের এজেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ তারা পেয়েছেন। তবে ট্রুডোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই অভিযোগ অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। এই ঘটনার জেরে দুই দেশের কূটনীতিককে বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া কানাডার নাগরিকদের ভিসাও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।

বিদেশে বসেই খালিস্তান আন্দোলন:
১৯৮০ সালে  ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ ঘিরে শিখদের একটি অংশ খালিস্তানের দাবি তোলে। পরে সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। তবে ভারতে খালিস্তান আন্দোলন স্তিমিত হলেও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশ সেই দাবি অব্যাহত রাখে। বিশেষ করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশ এখনও সেই দাবির পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তবে এই দেশগুলোকে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে আসছে ভারত।

কানাডায় ভারতীয়দের প্রভাব:
কানাডায় আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী অন্যান্য দেশ থেকে আসা মোট অভিবাসীর ১৮.৬ শতাংশ  ভারতীয়। ভারতের পর কানাডাতেই শিখ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তারা সেখানকার মোট জনসংখ্যার ২.১ শতাংশ।শুধু তাই নয়, ২০১৮ সাল থেকে কানাডায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভারত থেকে যায়।

আরও পড়ুন<<>>যে হত্যাকাণ্ডের জন্য তলানিতে ভারত-কানাডা সম্পর্ক

আইএ

Wordbridge School
Link copied!