• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মাহমুদুল হাসান

বাজেটে মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশ করা না হলে আত্মহননের পথ বেছে নেবে সরকারি কর্মচারীরা 


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৮, ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম
বাজেটে মহার্ঘ ভাতা ৫০ শতাংশ করা না হলে আত্মহননের পথ বেছে নেবে সরকারি কর্মচারীরা 

ঢাকা: সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বছরের শুরুতে আলোচনা শুরু হলেও এক পর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।

জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতার ঘোষণা আসতে পারে।

এ নিয়ে আগামী ২০ মে বিষয়টি নিয়ে অর্থ ড. উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল ও অন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বরাদ্দসহ সাত দাবিতে শাহাবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

এসময় ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান জানান, বাজেটে আমাদের জন্য ৫০% মহার্ঘ ভাতা যদি না রাখা হয় তাহলে আমরা আর সরকারের কাছে দাবি জানাতে আসব না। সরকারের কাছে বলবো না আমাদের ভাত দেন। যেহেতু সরকার যাচ্ছে আমাদের ভাতে মারবে, কাপড়ে মারবে, আমাদের সন্তানকে অশিক্ষিত করে রাখবে। 

তাহলে বউ সন্তান নিয়ে আমরা আত্মহননের পথই বেছে নেব। ইতিমধ্যেই অনেক সরকারি কর্মচারী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। আমরাও আত্মহননের পথ বেছে নেব। 

তিনি আরো বলেন, এই কর্মসূচিই আসবে অন্য কোনো কর্মসূচি আসবেনা। কর্মবিরতি দিয়ে আমরা সরকারকে কিছু বলবো না। আমরা সকলে গণ আত্মাহুতি দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে যাব যে বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের উপর অকথ্য নির্যাতন হয়। তাদেরকে এমন বেতন দেওয়া হয় যে বেতনে তারা সংসার চালাতে পারে না। এবং সারা বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়ে যাব যে আমাদের দেশে একজন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মানুষ থাকা সত্ত্বেও যিনি বলেছেন আপনাদের আন্দোলন সংগ্রামের প্রয়োজন নাই আপনার দাবিগুলো লিখিত জানান কিন্তু তারপরেও তিনি কথা রাখেননি।

গত ৭ই ফেব্রুয়ারি আমাদের মহাসমাবেশের পর স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের সাথে ২ নাম্বারি করা হয়েছে, এতদিন কিছু বলিনি। প্রধান উপদেষ্টার এপিএস সাব্বির সাহেব আমাদের বলেছিলেন যে প্রধান উপদেষ্টা এই মুহূর্তে আপনাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারছেন না। 

আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উইংয়ের কাছে এই দাবিগুলো পৌঁছে দিলেই আপনাদের দাবি পৌঁছে যাবে। অথচ আজকে পর্যন্ত সেই সাব্বির সাহেব কথা দিয়ে কথা রাখেননি। এই সরকার আসার পরে আপনি কয়েক শত কর্মকর্তাকে বাড়ি থেকে এনে পদাহিত করেছেন। 

তিনি বলেন, যারা অবসরে গিয়েছে তাদেরকে নতুন করে এনে বৈষম্য ট্যাগ দিয়ে আবার পেনশনের সুবিধা করে দিয়েছেন। কোটি কোটি টাকা এদেরকে দেওয়া হয়েছে বাড়ি থেকে এনে, এরা সব সময়ই সুবিধাভোগী। অথচ আমরা সরকারি কর্মচারীরা দুবেলা ভাত খেতে পারি না সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারি না। 

আমরা একটু ভালোভাবে চলতে পারিনা। এখানে যারা গোয়েন্দা বাহিনী আছেন, সাংবাদিক আছেন, বিভিন্ন সংস্থার লোকজন আছেন আপনাদের মাধ্যমে আমাদের এই কথাগুলো প্রধান উপদেষ্টার কর্ণ গহবরে প্রবেশ করানোর আকুল আবেদন জানাই কর্মচারীদের পক্ষ থেকে। 

আপনি এই বৈষম্য দূর করার জন্য অনেকগুলো কমিশন তৈরি করেছেন কিন্তু এর মধ্যে পে কমিশন নাই। যেখানে কর্মচারীরা বেশ কয়েক বছর ধরে এই বৈষম্যের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। সেখানে কর্মচারীদের কথা ভাবার জন্য আপনাদের সময় হয়নি।

এআর

Wordbridge School
Link copied!