• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিএনপির জোট ছাড়লো যেসব শরিক দল


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২, ২০২১, ১১:৫৬ এএম
বিএনপির জোট ছাড়লো যেসব শরিক দল

ঢাকা : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে শরিক দল খেলাফত মজলিস।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকালে এক প্রেস ব্রিফিং থেকে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন। এ নিয়ে বিএনপির জোট ছেড়ে গেলো পাঁচটি শরিক দল।

ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজনৈতিক জোট ইস্যুকেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐকফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকরও করা হয়।

এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, ২০১৯ সালের শূরা বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খেলাফত মজলিস আজকের মজলিসে শূরার অধিবেশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে স্বকীয়-স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট নিষ্ক্রিয় ও অকার্যকর। আর এই জোটে থাকায় রাজনৈতিক মূল্যায়নও পায়নি মজলিস। সর্বশেষ হেফাজতের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের ঘটনায় দলটির মহাসচিব অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। তাই খেলাফত মজলিসের জোট ত্যাগ করার পেছনে রাজনৈতিক কারণই প্রধান।

সর্বশেষ চলতি বছরের গত ১৪ জুলাই জোট ছাড়ে শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। এর আগে ২০১৯ সালের ৬ মে জোট ছাড়েন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ। তার আগে ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর বিএনপি জোট ছাড়ে লেবার পার্টি এবং তারও আগে ২০১৬ সালের ৭ জুন বিএনপির জোট ছেড়ে যায় মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ইসলামী ঐক্যজোট।

এদিকে জোটের আরেক শরিক মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের কল্যাণ পার্টিও বিএনপি জোট ছেড়ে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম এক অনুষ্ঠানে বলেন, প্রধান শরিক বিএনপি যদি জোটকে সক্রিয় করতে চায়, যদি অতীতের ভুলগুলো আত্মসমালোচনা করে পরিবেশ ভিন্ন করতে পারে, তাহলে আমরা একসঙ্গে পথ চলব। না হলে যদি প্রয়োজন পরে আমরা নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের আন্দোলনে আলাদা ভূমিকা রাখব।

অপরদিকে কল্যাণ পার্টি ছাড়াও কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপিও জোটে থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা শোনা যাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!