• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিলেট বিএনপির কমিটিতে ইলিয়াস আলী


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২২, ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম
সিলেট বিএনপির কমিটিতে ইলিয়াস আলী

সিলেট: দীর্ঘ ১১ বছর ধরে নিখোঁজ বহুল আলোচিত বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীকে সিলেট জেলা বিএনপির কমিটিতে রাখা হয়েছে। এবারও কমিটিতে প্রথম সদস্য তিনি। 

২০১২ সালে ‘নিখোঁজের’ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরে সংগঠনের দুই ইউনিট থেকেই নাম বাদ দেওয়া সিলেট-২ আসনের সাবেক এ সংসদ-সদস্যকে ফের কমিটির ১ম সদস্য করায় রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। 

গত রোববার রাতে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৫১ সদস্যের এ কমিটিতে ইলিয়াস আলী ছাড়াও তার স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনাকে ২য় এবং ছেলে আবরার ইলিয়াসকে ১১ নম্বর সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। তাহসীনা রুশদীর বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্র্মী অসংখ্য। সারাটা জীবন রাজনীতির পেছনে দৌড়েও কমিটিতে ঠাঁই পাচ্ছেন না। যেখানে দলের সক্রিয় নেতারাই পদ-পদবি পাচ্ছেন না সেখানে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ নেতাকে ফের কমিটিতে সদস্য করার পেছনে কোনো না কোনো রহস্য রয়েছে। তবে দলের দায়িত্বশীলদের দাবি, এটা নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। 

এদিকে কমিটিতে রাখলেও ইলিয়াস আলী এখন কোথায়, কী তার পরিণতি-যদিও এ ব্যাপারে এখনো অন্ধকারেই আছেন দলের নেতারা। তবে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ইলিয়াস বেঁচে আছেন। গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে হয়তো সন্ধান মিলবে এ নিখোঁজ নেতার। 

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর মতে, ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান না পেলেও তিনি জীবিত আছেন এটা আমাদের সবার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রতিবছর তার সন্ধান চেয়ে স্মারকলিপি দিই, ‘গুম’ দিবস পালন করি। কারণ তার পরিণতি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকার এখনো কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। ইলিয়াসের সঙ্গে তার গাড়িচালক আনসার আলীও নিখোঁজ হন। 

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!