• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আমরা কী হা-ভাতে, গয়েশ্বরের প্রশ্ন


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
আমরা কী হা-ভাতে, গয়েশ্বরের প্রশ্ন

ডিবি অফিসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আপ্যায়ন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ডিবিপ্রধান কর্তৃক আপ্যায়নের ছবি ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এতে কী সরকার প্রমাণ করতে চায় যে আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? এটাকে গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’।

রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।  এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের খোঁজখবর নিতে আসেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাক্ষাৎ শেষে তিনি চলে গেলে সাংবাদিকদের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া নেক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড। যারা এ কাজটি করেছে এটি অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচায়ক, এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতে কী সরকার প্রমাণ করতে চায়, যে আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? এটাকে গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো তা ঐরকমই। আমার বাড়িতে তো বিভিন্ন সময়ে অনেক লোক খায়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের জানান, ডিবির কার্যালয়ে তার জন্য হোটেল সোনারগাঁও থেকে আনা খাবার মুখে নেননি তিনি। সে খাবার না খেয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই খাবার আমার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিলো না। এ ছাড়া এই খাবার নিয়ে সন্দেহও ছিল। সে কারণে আর ওই খাবার গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, ডিবিপ্রধান হারুনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সৌজন্য রক্ষায় তার জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ডিবিপ্রধান আমাকে অনুরোধ করেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবিপ্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো- এটা যদি গ্রহণ করি তাহলে সমস্যা হবে না।

এর আগে, গতকাল শনিবার রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আহত হন। পরে তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।  

বিকেল ৩টার দিকে সেখানে গয়েশ্বরকে আপ্যায়ন করা হয়। তার সঙ্গে বসে খাবার খান ডিবিপ্রধান হারন অর রশীদও। এর পরপরই একটি গাড়িতে করে তাকে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!