ঢাকা: রাজধানীতে নিখোঁজের চারদিন পর তৌহিদুল ইসলাম (১৯) নামের এক স্কুল ছাত্রের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জুয়েল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) ভাটারা থানা এলাকার একটি কাশবনে নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে অভিযান চালিয়ে দিনাজপুরের কাহারোল থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত তৌহিদ ডুমনি আমিরজান স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের এসি রাজন কুমার সাহা।
তিনি জানিয়েছেন, তৌহিদুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়েছিল। নিহতের পরিবারের দাবি অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তারা। এই টাকা না পেয়ে খুন করা হয়েছে তাকে।
নিহত তৌহিদুলের পরিবারের বরাত দিয়ে রাজন কুমার সাহা জানান, গত বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হয় তৌহিদুল। বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয় সে। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পেয়ে ও তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরিবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিল। সেই ডায়েরির সূত্র ধরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি জুয়েল নামে একজনকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জুয়েল জানিয়েছে, তৌহিদুলের কাছে জুয়েল ১০ লাখ টাকা পেত। কিন্তু সেই টাকা কোনোভাবে দিচ্ছিল না সে। ধারের টাকা পাওয়ার জন্য তৌহিদুলকে ডেকেছিল জুয়েল। কথাবার্তার একপর্যায়ে তৌহিদুল তার সঙ্গে থাকা ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তৌহিদুলের হাতে থাকা ছুরিটি কেড়ে নিয়ে জুয়েল তাকে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরে বসুন্ধরার একটি কাশবন এলাকায় তৌহিদুলের মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় জুয়েল।
গ্রেফতারকৃত জুয়েল ঢাকায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন বলে জানান বাড্ডা জোনের এসি।
এমএস