• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

কখনোই ‘নো বল’ করেননি যে পাঁচ কিংবদন্তি বোলার 


ক্রীড়া ডেস্ক জুন ২২, ২০২২, ০৩:৩০ পিএম
কখনোই ‘নো বল’ করেননি যে পাঁচ কিংবদন্তি বোলার 

ফাইল ছবি

ঢাকা : বর্তমানে ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে ফ্রি হিট থাকায়, নো বলের কারণে প্রতিপক্ষ দল এক রান পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি একটি বল পায় খেলার জন্য। যে বলে ব্যাটসম্যানের জন্য রান আউট ব্যতীত আর কোনো আউট হওয়ার উপায় থাকে না। যার ফলে ফ্রি হিট বলটি নিজের সুবিধামতো খেলে থাকেন ব্যাটসম্যানরা।

যদিও ক্রিকেটে বোলারদের পপিং ক্রিজ থেকে বেরিয়ে ওভারস্টেপিং করা হরহামেশাই ঘটার মতো ঘটনা। বোলারদের ‘নো বল’-এর ভুল প্রতিপক্ষকে বাড়তি সুযোগ দেয়। টেস্টে প্রতিপক্ষ কেবল একটি রান পেলেও রঙিন পোশাকের খেসারত দিতে হয় এর চেয়েও বেশি।

তাই ক্রিকেটে ‘নো বল’ না করাটাও একটা বিশাল কীর্তি। যে কীর্তি গড়েছিলেন ক্রিকেটের রথি-মহারথিরা। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে কোনো ‘নো বল’ না করা এমন পাঁচ কিংবদন্তির সঙ্গে পাঠকদের পরিচিত করানো যাক।

ডেনিস লিলি

ডেনিস লিলি : অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। বল হাতে ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য লিথাল এক পেসার। অজিদের হয়ে খেলেছিলেন ৭০টি টেস্ট এবং ৬৩ ওয়ানডে ম্যাচ। ৭০ টেস্টে ৩৫৫ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ২৩ গড়ে। যেখানে বেস্ট বোলিং ফিগার ছিল ৮৩ রানে ৭ উইকেট। 

এ ছাড়াও ৬৩ ওয়ানডে থেকে নিয়েছিলেন ১০৩ উইকেট। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে টেস্ট এবং ওয়ানডে ফরম্যাট মিলিয়ে ২২ হাজার ৬০ বল করা ডেনিসস লিলি কখনোই কোনো নো বল করেননি।

ইয়ান বোথাম

ইয়ান বোথাম : ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম ক্যারিয়ারে ১০২টি টেস্ট এবং ১১৬ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে টেস্টে ৩৮৩ এবং ওয়ানডেতে ১৪৫ উইকেট নিয়েছিলেন স্যার বোথাম। 

টেস্টে বোথাম ২৭বার ৫ উইকেট এবং ৪ বার ম্যাচে নিয়েছিলেন দশ উইকেট। এই উইকেট নিতে বোথাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করেছিলেন ২৮ হাজার ৮৬টি। যা ইংলিশ বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। তার চেয়েও বেশি বোলিং করেছেন কেবল জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ২১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই ডানহাতি বোলার একটি বলও ওভারস্টেপিং করেননি।

কপিল দেব

কপিল দেব : ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো তারকা অলরাউন্ডার হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত ছিলেন। ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে সার্ভিস দিয়েছিলেন। এরমধ্যে টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলিয়ে মোট ৩৫৬ ম্যাচ খেলেছিলেন কপিল।

যেখানে ৪৪৮ ইনিংসে ৩৮৯৪২ বল করেছিলেন কপিল। যা ভারতের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ভারতীয়দের মধ্যে তার চেয়ে বেশি বোলিং করেছিলেন কেবল অনিল কুম্বলে এবং হরভাজন সিং। ক্যারিয়ারের ৩৮ হাজারেরও বেশি বল করলেও কখনো ওভারস্টেপিং করেননি কপিল। টেস্টে ৪৩৪ উইকেট নিয়েছিলেন কপিল। ওয়ানডেতে পেয়েছেন ২৫৩ উইকেট।

ইমরান খান

ইমরান খান : পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক তার সময়কালে ছিলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার ক্যারিয়ারে ৮৮ টেস্ট এবং ১৭৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। যেখানে মোট ৫৪৪ উইকেট শিকার করেছিলেন এই ডানহাতি মিডিয়াম পেসার। 

যার মধ্যে টেস্টে ৩৬২ এবং ওয়ানডেতে ১৮২ উইকেট পেয়েছিলেন ইমরান। এই উইকেট শিকার করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ২৬৯১৯ বল করেছিলেন ইমরান। তার চেয়ে পাকিস্তানের হয়ে বেশি বোলিং করেছিলেন কেবল ওয়াকার ইউনিস এবং ওয়াসিম আকরাম। ২১ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে ২৬ হাজারেরও বেশি বল করলেও কখনো নো বল করেননি ইমরান।

ল্যান্স গিবস

ল্যান্স গিবস : এই লিস্টে একমাত্র স্পিনার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য থেকে উঠে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনার ল্যান্স গিবস। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোটে ৭৯ টেস্ট এবং ৩ ওয়ানডে খেলেছিলেন গিবস। 

যেখানে মোট ৩০৯ টেস্ট এবং মাত্র ২টি ওয়ানডে উইকেট আছে গিবসের। উইন্ডিজদের হয়ে ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ২৭ হাজার ২৭১ বল করেছিলেন ডানহাতি এই অফস্পিনার। এই সময়ে কোনো নো বল করেননি গিবস। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম স্পিনার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি এই স্পিনারের। এমনকি এই ক্রিকেটারের বোলিং ইকোনমি ঈর্ষণীয় মাত্র ১ দশমিক ৯৯।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!