এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে হংকং চায়নার বিপক্ষে লড়াইয়ে এক অনন্য রোমাঞ্চ উপহার দিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। ম্যাচজুড়ে গোলের বন্যা, নাটকীয় প্রত্যাবর্তন, আর শেষ মুহূর্তের হতাশা—সব মিলিয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের রাতটি হয়ে উঠেছিল শ্বাসরুদ্ধকর। তবে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অতিথি হংকং।
ম্যাচের শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো বাংলাদেশের। মাত্র ১৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন হামজা চৌধুরী। তার নেওয়া শটটি হংকংয়ের এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে দিক পরিবর্তন করে জড়িয়ে যায় জালে। লাল-সবুজ জার্সিতে এটি ছিল হামজার দ্বিতীয় গোল—এর আগে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে করেছিলেন প্রথমটি।
তবে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে গোল পেয়ে সমতায় ফেরে হংকং। এভারটনের আলতো টোকে হতভম্ব হয়ে যান গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচ ঘুরে যায় হংকংয়ের পক্ষে। রাফায়েল মার্কেসের আগ্রাসী খেলার সামনে বাংলাদেশের রক্ষণদুর্গ ভেঙে পড়ে দুইবার। প্রথমে সোহেল রানার ব্যাকপাস ভুলে গোল হজম, পরে একই ভুলের পুনরাবৃত্তিতে রাফায়েলের দ্বিতীয় গোল। ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপরই কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা তিনটি পরিবর্তন আনেন—জামাল ভূঁইয়া, শমিত সোম ও ফাহামিদুলকে নামিয়ে দেন মাঠে। এতে কিছুটা গতি ফেরে আক্রমণে। তবে ৭৪ মিনিটে রাফায়েল হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করলে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় হংকংয়ের জন্য।
তবু লড়াই ছাড়েনি বাংলাদেশ। ৮৪ মিনিটে শেখ মোরসালিন গোল করে আশা জাগান। জামালের ফ্রি-কিক ফিরিয়ে দেওয়ার পর ফাহামিদুলের ভলিতে বল গোলরক্ষকের হাত ফসকে যায়, আর মোরসালিন সুযোগ নেন নিখুঁতভাবে।
৯৮ মিনিটে যোগ করা সময়ে ফের নাটক। কর্নার থেকে মোরসালিনের ক্রসে হেড করে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন শমিত সোম। গ্যালারিতে তখন উৎসবের আমেজ। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজানোর আগেই আরেকবার রাফায়েলের পা থেকে আসে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী গোল। হ্যাটট্রিকের সুবাদে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে হংকং চায়না।
শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের হার সত্ত্বেও বাংলাদেশের লড়াইয়ের মানসিকতা প্রশংসার দাবিদার। অভিষিক্ত জায়ান আহমেদ, তরুণ মোরসালিন, আর বিকল্প শমিত সোমের পারফরম্যান্সে ভবিষ্যতের আশা দেখছেন সমর্থকরা।
এম







































