• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকদের সঙ্গে কেন এমন করছে এনটিআরসিএ


মেহেদী হাসান তানজীল জুলাই ১০, ২০১৯, ০৩:০৯ পিএম
শিক্ষকদের সঙ্গে কেন এমন করছে এনটিআরসিএ

মামলাজনিত কারণে দীর্ঘ দিন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর  নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বর্তমানে কিছুটা আশার আলো দেখা গেলেও এখনও কাটেনি অনেক শিক্ষকের হতাশা।

এনটিআরসিএ কর্তৃক ২য় নিয়োগ চক্রে গত বছর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত আবেদনপত্রগুলো মেধাক্রম অনুযায়ী যাচাই-বাছাই, প্রতিষ্ঠান নির্বাচন, পদ ও বিষয় উল্লেখ করে ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগের জন্য সুপারিশপত্র অনলাইনের মাধ্যমে পাঠায়। 

এনটিআরসিএ থেকে চূড়ান্ত নিয়োগযোগ্য সুপারিশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেও এমপিওভুক্তি না হওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন অনেক শিক্ষক। সারাদেশে একসঙ্গে নিয়োগ পেয়ে অনেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন আর অনেকে চরম হতাশায় ভুগছেন।

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিভিন্ন ভুলের কারণে অর্থাৎ ভুল ই-রিকুইজেশন, নন-এমপিও পদকে এমপিও পদ হিসেবে উল্লেখ, মহিলা কোটা এবং অন্যান্য সুপারিশকৃত পদে যোগদান করে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করলেও নানা কারণে ফাইল রিজেক্ট হয়ে যায়। এদের বেশির ভাগ মহিলা কোটা সমস্যা রয়েছে।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা এনটিআরসিএ’র নিকট অভিযোগ করলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা অধিদপ্তর এবং কারিগরি অধিদপ্তরের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের তালিকা নিলেও সমস্যা সমাধানে কালক্ষেপণ করছে এনটিআরসিএ।

এদিকে জাতীয়ভাবে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা নিজ জেলা থেকে অন্য জেলায় যোগদানের পর দীর্ঘ দিন ক্লাস করে আসছেন। অনেকে প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে থাকা-খাওয়াসহ  অত্যাধিক ব্যয়বহুল ও আর্থিক সংকটের ফলে এমপিওভুক্তি না হওয়ার আশঙ্কায় ক্লাস করতে অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন এবং পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে যাচাই বাছাই না করে জাতীয়ভাবে সুপারিশ করায় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা দেখা দেয়। হ-য-ব-র-ল এ নিয়োগ ব্যবস্থায় এনটিআরসিএ’র ওপর আস্থা হারাচ্ছে ভুক্তভোগী শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ।

মহিলা কোটাসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

লেখক, শিক্ষক

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!