• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

আগামি বছরেই আসছে লাল-সবুজের প্রথম মেট্রোরেল


বিশেষ প্রতিনিধি মার্চ ১৮, ২০১৮, ০৩:২৪ পিএম
আগামি বছরেই আসছে লাল-সবুজের প্রথম মেট্রোরেল

ঢাকা : মিরপুর-১২, ১১, ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা ও আগারগাঁওয়ের সড়কে- এখন দিনরাত চলছে নির্মাণযজ্ঞ। পাইলিংয়ের জন্য বিশাল আকৃতির ক্রেন, এসকেভেটর বসানো হয়েছে।

লক্ষ্য একটাই- রাজধানী ঢাকাকে যানজট মুক্ত করতে ২০১৯ সালের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করা। আর এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে ‍দ্রুত গতিতে।

প্রকল্প সূত্রমতে, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে মিরপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও মতিঝিল। ২০ দশমিক ১ কিলোমিটারের এই পথে মেট্রোরেল থামবে ১৬ স্টেশনে। এটি পরিচালনা করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে সময় লাগবে মাত্র ৩৭ মিনিট। বিদ্যুত্চালিত এ ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় গড়ে ৩২ কিলোমিটার। এ রুটে ৬টি করে বগির ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে।

প্রতিটিতে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী চলাচল করতে পারবে। এর মধ্যে আসনে বসতে পারবে ৯৪২ জন এবং দাঁড়িয়ে থাকবে ৭৫৪ জন। এতে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিক থেকে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, ২০১৯ সালে যখন এটি প্রথম চালু হবে, তখন সাড়ে ৩ মিনিট অন্তর মেট্রোরেল ছেড়ে যাবে। চাহিদা বেশি থাকলে ২ মিনিট পর পরও ট্রেন ছাড়া যাবে।

জানা গেছে, উত্তরা তৃতীয় ফেজ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত এ প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

মেট্রোরেল প্রকল্পে যে ১৬টি স্টেশন হবে সেগুলো হচ্ছে, উত্তরা-উত্তর, উত্তরা-সেন্টার, উত্তরা-দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল।

মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, এখানে লাল এবং সবুজ রঙয়ের প্রাধান্য রেখেই মেট্রোরেলের ডিজাইন করা হচ্ছে। প্রথম দিকে আমরা ৬টি বগি দিয়ে ট্রেন চালু করছি। তবে সেখানে একটি ব্যবস্থা রেখে দিয়েছি- যাতে ভবিষ্যতে ৮টি বগি দিয়ে চালানো যায়।

তিনি আরও বলেন, যে কনট্রোল সিস্টেম আমি ইনস্টল করছি, সে অনুযায়ী- সাড়ে ৩ মিনিট পর পর ট্রেনগুলো যেতে থাকবে। তবে চাহিদা থাকলে দেড় মিনিট কমিয়ে ২ মিনিট করা যাবে। সে ব্যবস্থাও রেখে দিয়েছি। অর্থাৎ দুই মিনিট পর পর ট্রেন চালাতে পারবো।

সড়কের ডিভাইডার বরাবর সরু পিলারের ওপর বসানো রেলওয়ে ট্র্যাকের ওপর দিয়ে এই মেট্রোরেল চলবে। তবে সড়কের মাঝখান দিয়ে গেলেও এতে নিচের রাস্তার কোনো প্রভাব পড়বে না।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় পিলারের সাইজ বিভিন্ন হবে। অধিকাংশ পিলারই হবে এক মিটারের ভেতরে। এটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয়টাই এক মিটার করে হবে। রাস্তার নিচের জায়গাটা যেভাবে ছিল তা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বিশ্বাস করেন, মেট্রোরেল চালু হলে এই রুটে যানজট অভাবনীয় পর্যায়ে কমে আসবে।  কারণ প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোরেলে পার হতে পারবে।

এম এ এন সিদ্দিক আরও বলেন, ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট টাইমেই চলাচল করবে। ট্রেনটি যদি ১০টা ৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে ছাড়ার কথা থাকে, তবে অবশ্যই ৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে ছাড়বে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!