শরীয়তপুর: জেলার নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটে পদ্মার ভাঙনে ডুবে যাওয়া ৩টি লঞ্চের আরেকটি শনাক্ত করেছে বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবরীরা।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নড়িয়ার চণ্ডিপুর লঞ্চঘাটের কাছে মহানগরি লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুলারচর এলাকায় মৌচাক-২ লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়।
এদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় ওই লঞ্চ দুটি উদ্ধার অভিযান চালাতে পারছেনা ডুবরীরা। এছাড়া লঞ্চের তিন যাত্রী ও ১৬ কর্মীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডুবে যাওয়া নড়িয়া-২ লঞ্চের সুকানি সজল তালুকাদারের ভাই ইমন তালুকদার বলেন, আমার ভাইসহ ১৯ ব্যক্তির কোনো সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। এখনতো আর তারা কেউ বেঁচে নেই। আমরা কি তাদের লাশটাও পাব না? দুর্ঘনার পর থেকে ভাইয়ের সন্ধানে পদ্মার তীরে অপেক্ষা করছি আর চোখের জল ফেলছি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর পদ্মার ভাঙনের কারণে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটের পল্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় পানির তীব্র স্রোতে পল্টুনে নোঙর করা তিনটি লঞ্চ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া মৌচাক লঞ্চটি ওই ঘাট হতে ঢাকায়, নড়িয়া-২ ও মহানগরি লঞ্চটি নারায়নগঞ্জে চলাচল করত।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ’র (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান বলেন, শুক্রবার দুপুরে মহানগরি লঞ্চটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা ডুবে থাকা আরেকটি লঞ্চ শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবরিরা নদীতে নামতে পারছে না। স্রোত কমলে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু হবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :