• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একটি গ্রুপ দেশকে বিক্রি করার চেষ্টা করছে: ফারুক


বিনোদন প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৭, ০৮:১৬ পিএম
একটি গ্রুপ দেশকে বিক্রি করার চেষ্টা করছে: ফারুক

ঢাকা: ঈদে মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা বিতর্কিত যৌথ প্রযোজনার দুই ছবি নবাব ও বস ২ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ছবি দুটো যৌথ নীতিমালার নিয়ম কানুন না মেনেই তৈরি হয়েছে বলে সেন্সর, প্রিভিউ কমিটি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগপত্র দায়ের করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র ঐক্যজোট নামের বৃহৎ সংগঠন। কিন্তু এই সংগঠনের অভিযোগ খুব একটা পাত্তা না দিয়ে ২১ জুন বুধবার দুপুরে সেন্সরে নবাব ও বস-২ প্রদর্শীত হওয়ার তারিখ ঠিক হয়েছে। আর এতেই ক্ষব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের চিত্রনায়ক ফারুক।   

নবাব ও বস-২ ছবি দুটো যৌথ প্রযোজনার নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নির্মিত একটি ভারতীয় সিনেমা, এ কথা বলে আসছে চলচ্চিত্রের ১৪টি সংগঠনের নেতরা। কিন্তু তাদের অভিযোগ খতিয়ে না দেখেই এবার নবাব ও বস-২কে সেন্সরে প্রদর্শনীর অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর এমনটা করায় সার্বিক দিকগুলো নিয়ে ক্ষেপেছেন চিত্রনায়ক ফারুক। মঙ্গলবার বিকালে এফডিসির পরিচালক সমিতির স্টাডি রুমে আয়োজিত একটি জরুরী সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বলেন, সবচেয়ে বড়ো কথা হলো, পরশু আমাদের একটা মানবন্ধন ছিলো। সেখান থেকে সেন্সর বোর্ডে যাওয়া হলো। সেখান থেকে মিনিস্ট্রি থেকে বলা হলো আপনারা আসেন, সেখানে যাওয়া হলো। বসা হলো। যেয়ে দেখি আমাদের আগে আরেকটি গ্রুপ সাক্ষাৎ করে এসেছে। তারা আমাদেরেই লোক। আমাদের পর কেউ না। জাজও পর না, আর যারা সেখানে ছিলেন তারাও কেউ আমাদের পর না। তবে তারা যা করছেন, সেটা অন্যায় করছেন। এটা হলো দেশকে তারা বিক্রি করার চেষ্টা করছেন।  

সাধারণ শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের তোয়াক্কা না করতে থাকলে একদিন সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটারও সম্ভাবনার কথা জানান ফারুক। এ বিষয়ে তিনি তথ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে যখন আমরা বসলাম, তখন তিনি আমাদের বললেন যে আপনারা একটা লিখিত দেন। তারসাথে যে কথা হয়েছে, মনে হয়েছে তিনি সঠিক জিনিষটি করবেন না। কিন্তু আজকে দেখা গেলো, যে তারা বা তিনি কোনো কিছু তোয়াক্কা করলেন না। তাহলে আমাদেরতো একটু দেখতে হয়। আমরাতো আর্ট কার্লচারের লোকরে ভাই। আমরা ভালোবাসার পৃথিবীতে বাস করি। এখানে আমরা হঠাৎ করে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি না। তবে হ্যাঁ, আমাদের কিছু করাটা কিন্তু অনেক ভিতরের করা। সেটা থামানো কিন্তু মুশকিল। সেটা হলো সাংস্কৃতিক বিপ্লব হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু থাকে। 

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রীমহোদয় যদি মনে করে থাকেন যে এটা কিছুই না, তাহলে ভুল করবেন। এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি যেমন আমাকে জন্ম দিয়েছে, তেমনি এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যে ফুটিং আজকে সেটারও জন্ম দিয়েছি আমরা। সুতরাং এখানে কথা বলার ক্ষমতা, অধিকার প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের আছে। যে কেউ এসে ভিনদেশ থেকে একটা ছবি এনে মুক্তি দিতে পারেন না।      

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!