• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে


আদালত প্রতিবেদক জুলাই ২৭, ২০১৭, ০২:৫৮ পিএম
ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের তদন্ত চলছে

ঢাকা: বিএনপি নেতা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত চলছে এবং কতিথ ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক।

সানাউল হক বলেন, ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে নিয়মত মামলা আছে, তদন্ত চলছে। আর মুসা বিন শমসেরের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। কোনো অগ্রগতি পাওয়া গেলে জানানো হবে।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যশোর এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের ষোলজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে প্রকাশ করে  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

৫১ তম প্রতিবেদন শেরপুরে নকলার ইরশিবপুরের সামজুম্মানের ছেলে এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক (৫৮), ময়মনসিংহের কোতোয়ালীর বয়েলকান্দির আজিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম আকরাম হোসেন (৬২), যার স্থায়ী ঠিকানা নকলার বিবিরচরে, নকলার কুর্শা বাদগৈড়ের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা ডাক্তার (৭৪), এ কে এম আকরাম হোসেন এবং  পলাতক অপরজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত করা হয়।  এ মামলায় মোট সাক্ষী ৩৪ জন।

গ্রেপ্তার তিন আসামিই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

চার আসামির বিরুদ্ধে ৫৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৬ জনকে অপহরণ, আটক, নির‌্যাতন ও হত্যাসহ জোরপূর্বক ম্রম আদায়, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

৫২ নম্বর  প্রতিবেদনে যশোরের কোতোয়ালীর শংকরপুর এলাকার আমিন উদ্দিন মোল্লার ছেলে ওহাব মোল্লা (৮০) যার স্থায়ী ঠিকানা নড়াইলের ফুলেশ্বর গ্রামে, নড়াইলের বড়শুলা এলাকার রোকন উদ্দিন শেখের ছেলে ওমর আলী (৬৪), তুলারামের আব্দুর রহমানের ছেলে বদরুদ্দোজা (৭৫), লোহাগড়ার নওয়াগ্রামের নবীর শেখের ছেলে দাউদ শেখ(৬৭), নড়াইলের শেখহাটির রবিউল হোসেন খানের ছেলে গুলজার হোসেন খান(৭৫), যশোরের কতোয়ালীর খড়কী এলাকার খন্দকার এরশাদের ছেলে পলাতক খন্দকার শওকত আলী বাবুল (৬৮) সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাবুলসহ এ মামলায় সাতজন পলাতক রয়েছে।

এদের মধ্যে গুলজার হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাকীরা বিএনপি, জামায়াত ও মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

৪৩৪ জন পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৫ অভিযোগে আটক অপহরণ নির‌্যাতন অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!